জোয়ারের সময়ে এসব এলাকার কেউ কেউ ভাটার অপেক্ষায় বাসায় অবস্থান নিলেও অনেকে নিরুপায় হয়ে দুর্গন্ধ ও কাঁদাযুক্ত ময়লা পানিতে হেঁটে গিয়ে কাজ সম্পাদন করছে। আবার অনেকে রিক্সায় চড়ে কাঁদাময় পানির পথ পাড়ি দেন।
বাকলিয়া ডিসি রোডের শিশু কবরস্থান এলাকার নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে দুপুরের দিকে জোয়ারের পানি চকবাজার-বাকলিয়া রোডের ওপর উঠে যাচ্ছে। মেইন সড়কের পাশাপাশি বাকলিয়া এলাকার নালার উপর দিয়ে অলিতে গলিতে জোয়ারের পানি ডুকে পড়ছে।
ঈদের দিন সকালে বাসা থেকে ভালভাবে বের হয়ে নামাজ পড়ে আবার বাসায় এসেছি। দুপুরের দিকে জোয়ারের পানি আসে। ৫টার আগে বাসা থেকে বের হতে পারিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (২৬ জুন) দুপুর ২টার পর বাকলিয়া এলাকায় জোয়ারে পানি আসতে থাকে। জোয়ারের পানিতে বাকলিয়ার ডিসি রোড, ওয়াপদা গেইট, সৈয়দশাহ রোডসহ ওই এলাকার অলিগলি পানিতে ডুবে যায়। পরে ৫টার দিকে ভাটার টানে এসব পানি শুকাতে শুরু করে।
একইভাবে নগরীর বাদুরতলার জঙ্গী শাহ মাজারগেইট, কাপ্তাইরোড এলাকায় সড়কের কিছু অংশ, আগ্রাবাদের এক্সেস রোডসহ নগরীর প্রায় সকল নিচু এলাকায় দিনে ২ বার জোয়ার পানি ডুকছে। আাবার ভাটার সময়ে শুকিয়ে যায়।
আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকার সানিউল ইসলাম বলেন, বর্ষাকাল আসলেই আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ভারী বৃষ্টিপাত হলে পানি তো উঠেই। তবে ইদানিং দিনে ২ বার জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি। রাতের জোয়ারের সময়ে এ এলাকার লোকজন ঘুমিয়ে সময় কাটালেও দিনের বেলায় যে জোয়ার আসে তখন হাটু ও কোমড় সমান পানিতে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়।
‘ঈদের এ আনন্দের দিনে দুপুরের পর আমরা যেমন কোথাও বের হতে পারিনি তেমনি কোন আত্মীয়স্বজনও আমাদের বাসায় আসতে পারেনি। অনেকে ফোন করে জানতে চেয়েছে সড়কে পানি আছে কি না, বাসায় আসতে পারবে কিনা? দুপুর ২টার পর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়কে হাটু সমান জোয়ারের পানি থাকে। কোথাও কোথাও এর চেয়ে আরও বেশি। ’ বলেন সানিউল
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এসবি/টিসি