তবে জোয়ারের পানিতে নগরীর নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে ঈদের আনন্দ কিছুটা ম্লান হবে বলে আশংকা সেখানকার বাসিন্দাদের। রোববারও (২৫ জুন) জোয়ারের পানিতে নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
সোমবার (২৬) সারাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়ার সর্বশেস পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্ষাকাল হলেও ঈদের দিন সকালে নগরী এবং আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে না।
তবে রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকায় কয়েক দফা হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির আশংকায় নগরীর প্রধান ঈদ জামাত জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ভারি ত্রিপল দিয়ে প্যান্ডেল টাঙানো হয়েছে। বৃষ্টি হলে প্যান্ডেলের ভেতরে সমস্যা না হলেও যারা সড়কের উপর বসে নামাজ আদায় করবেন তাদের সমস্যা হবে বলে মনে করছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
ঈদ জামাতের প্রস্তুতি তদারককারী চসিকের কর্মকর্তা মো.আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, প্যান্ডেলের ভেতরে এক জামাতে ৪০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। দুই জামাতে ৮০ হাজার মুসল্লী অংশ নেবেন। বৃষ্টি না থাকলে মসজিদের পাশে রাস্তায় সমপরিমাণ মুসল্লী থাকবেন। প্রায় দেড় লাখ মুসল্লীর সমাগম হবে।
এদিকে জোয়ারের পানিতে রোববার নগরীর বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, উত্তর-মধ্যম হালিশহরের আদর্শপাড়া, এক নম্বর সাইট হিন্দুপাড়া, লোহারপুল, মাইজপাড়া, ঈশান মিস্ত্রি হাট, পুরাতন ডাকঘর এলাকায় পানি উঠে যায়।
নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ার আতুরজ্যার দোকান এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, মূল রাস্তায় পানি না উঠলে গলির ভেতরে পানি উঠে যাচ্ছে। নিচতলার বাসায়, কলোনিতে পানি ঢুকে যাচ্ছে। এভাবে চললে কিভাবে ঈদের দিন ঘর থেকে বের হব সেটা ভাবছি। নামাজ পড়ার জন্য তো অন্ত:ত মসজিদে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি