ঈদ উপলক্ষে ৫ থেকে সপ্তাহব্যাপী নেওয়া হয়েছে বিশেষ আয়োজন। কনসার্টের পাশাপাশি পার্কগুলো সাঁজানো হয়েছে বাহারী আলোকসজ্জ্বায়।
নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ড, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্ক, চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশু পার্ক, কাজীরদেউরি শিশু পার্ক ও বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ফয়’স লেক : ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইডগুলোর মধ্যে দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, সার্কাস সুইং, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, রেড ড্রাই ইড, কফিকাপ, ইয়োলো ড্রাই।
কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্টের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপনন) বিশ্বজিত ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, ঈদে প্রতিবারের মত ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে এবার বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে আনা হয়েছে নতুনত্ব। ঈদের দিন সোমবার দুপুর ১টা থেকে পার্ক ও সী-ওয়ার্ল্ড খোলা হবে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে খোলা হবে। এদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে ৫ম দিন পর্যন্ত কনসার্ট, ডিজে, যাদু ও গেম শো’র আয়োজন করা হয়েছে। নৈসর্গিক সৌন্দর্য ধারণে প্রকৃতি প্রিয়রা ঈদকে কেন্দ্র করে ফয়’স লেকের অভ্যন্তরে রিসোর্টের প্রায় সবকটি রুম ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সারাবছরের চেয়ে ঈদে এখানে বাড়তি চাপ থাকে বিধায় আমরা বিশেষভাবে প্রস্তত রয়েছি। ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডের বিভিন্ন স্পটে বাহারী আলোকসজ্জ্বায় প্রাণবন্ত রূপে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন প্যাকেজে ছোট ও বড়দের জন্য প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রবেশের টিকেটের সাথে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য রাইড ও খাবারের প্যাকেজ সুবিধা দেয়া হয়েছে।
বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্ক: বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্কে (মিনি বাংলাদেশ) রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন, দরবার হল, আহসান মঞ্জিল, হাইকোর্ট, লালবাগ কেল্লা, কার্জন হল, সোনা মসজিদ, কান্তজির মন্দির, বড়কুঠি, ছোট কুঠি, পাহাড়পুর বিহার, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, ট্রেনের নিচে ব্রিজ, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল) ও চিরন্তন পল্লী। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে ফ্যামিলি কোস্টার, প্যাডেল বোট, মিনি ট্রেন, পেডেল ট্রেন, বেবি ক্যাসেল, বেলুন হুইল, মনোরেল, মিউজিক সুইং, বাম্পার কার ও আরবি ট্রেন। আরও রয়েছে ২৫০ ফুট উচ্চতার ঘুর্ণায়মান রিভলবিং রেস্টুরেন্ট। পার্কটিতে দেশের প্রায় সকল ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। দর্শনার্থীর কাছে পার্কটি মিনি বাংলাদেশ হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
স্বাধীনতা পার্কের পরিচালক হেলাল উদ্দিন জানান, ঈদ উপলক্ষে মিনি বাংলাদেশ খ্যাত এ স্বাধীনতা পার্কে ব্যাপক সংস্কার কাজ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা ১০০ টাকার টিকেটের মাধ্যমে প্রবেশ করে যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়াও নগরীর ফয়’স লেকের চিড়িয়াখানায় দেশের বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্ত প্রাণী দেখতে পারবেন। কাজিরদেউরি ও আগ্রবাদ শিশুপার্ক ও বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্কও দর্শনার্থীর জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এসবি/টিসি