রোববার (২৫ জুন) নগরীর প্রধান ঈদ জামাত জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দান পরিদর্শনের প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুরোধ করেছেন সিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, জনসাধারণের কাছে অনুরোধ, ঈদ জামাতে আসার সময় অতিরিক্ত কোন জিনিস বহন করবেন না।
‘গাড়ি থাকলে বাইরে রাখবেন। বাইরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে, যাতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত না হন। ’
জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানকে প্রধান ঈদ জামাত হিসেবে নিয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন সিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, জমিয়াতুল ফালাহকে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত বিবেচনা করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটার তিনদিকে প্রবেশপথ আছে। তিনটি প্রবেশপথেই আর্চওয়ে গেইট থাকবে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। যারা আসবেন তারা নিরাপত্তা বেস্টনী হয়ে আসবেন এবং তল্লাশির পর ঢুকবেন।
‘নগরীতে ৪০৩টি ঈদের জামাত আছে। এর ভেতরে ১৩৭টিকে বড় জামাত হিসেবে বিবেচনা করেছি। এই ১৩৭টিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সবচেয়ে বড় জামাত এই জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে হবে। এখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। দ্বিতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে। সব জায়গায় থাকবে, তবে দুই জায়গায় থাকবে বেশি। ’ বলেন সিএমপি কমিশনার
নগরজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, কোন ধরনের জঙ্গী কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা নেই। তারপরও কোনকিছুকে ছোট করে না দেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে আগাম কোন তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারি।
সিএমপি কমিশনার জানান, ঈদের দিন থেকে পরবর্তী তিনদিন বিনোদন কেন্দ্রেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারবে বলে বলে আশা তার।
‘আশা করি নগরবাসী ভয়ভীতিহীনভাবে ঈদের জামাতসহ সকল উৎসবে অংশ নেবেন এবং নিজের বিষয়ে নিজে সচেতন থাকবেন। ’ বলেন কমিশনার
ব্রিফিংয়ের আগে পুলিশ কমিশনার জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি ঘুরে ঘুরে দেখেন।
এসময় সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ এবং সহকারি কমিশনার (কোতয়ালী জোন) জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি