ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাড়ির চাপ নেই, কোলাহল নেই, এ এক অন্য বন্দরনগরী !

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
গাড়ির চাপ নেই, কোলাহল নেই, এ এক অন্য বন্দরনগরী ! ফাঁকা বন্দরনগরী (ছবি: উজ্জল ধর, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম: ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত বন্দরনগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে কিছু গাড়ি চলাচল করলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে মার্কেট-শপিংমলগুলো এখনও জমজমাট।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোমবার (২৬ জুন) ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে বলে আশা মানুষের।   রোববার থেকে ৩ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে।
বেসরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প, কল-কারখানাও বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্র-শনিবার ছিল সরকারী ছুটি।
এ হিসেবে কার্যত ছুটি শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে।  
ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস সেরে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মানুষে নগরী ছেড়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। আর যারা বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, তারা শনিবার বিকেলে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় রওয়ানা দিয়েছেন। বিমানেও চট্টগ্রাম ছেড়েছেন অনেকে।
সোমবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, কোতোয়ালী, জিইসি, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, টাইগারপাস, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফাঁকা রাস্তাঘাট দেখা গেছে। ব্যক্তিগত যানবাহন কম।   গণপরিবহনের সংখ্যাও কমে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬০ লাখ নগরবাসীর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই ঈদ উপলক্ষে নগরী ছেড়েছেন। তবে নগরীতে রয়ে গেছেন আদি বাসিন্দা এবং যাদের ছুটি মেলেনি কিংবা একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে যারা যেতে পারেননি। আবার নগরীর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে ঈদের নামাজ আদায় শেষে নগরী ছাড়বেন।
শহীদ নামে বাদুরতলা এলাকার এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, ঈদের দিন নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের জামাত শেষ করে গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে যাবো। সেখানে আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করে রাতে আবারো নগরীতে ফিরে আসবো।
এদিকে নগরী ফাঁকা হলেও নিউমার্কেট ও হকার মার্কেটে চলছে স্বল্প আয়ের মানুষদের কেনাকাটা। নগরীর অন্যান্য অভিজাত মার্কেটগুলোতে বিকিকিনি কম হলেও হকার মার্কেটে চলছে এখনো বিকিকিনি। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের লোকজন এ কেনাকাটা করছেন।
পবিত্র শবে কদর, ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে নগরী মোট ৯ দিনের ছুটির কবলে পড়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের পরদিন ২৭ জুন পর্যন্ত সরকারি ছুটি রয়েছে। এরমধ্যে ২৮ ও ২৯ জুন ২ দিনের কর্মদিবস রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে যাদের উপস্থিতি কিছুটা নমনীয়, তারা এ সুযোগে ওই ২ দিনের ছুটিও অফিস প্রধান ও বসকে ম্যানেজ করে নিয়েছেন। তারা একেবারে ২ জুলাই থেকে অফিসে ফিরবেন।
বুধবার (২৮ জুন) ও বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) অফিস খেলা রয়েছে। এরপর আবার ৩০ জুন শুক্রবার ও ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। কাজেই ২ জুলাই রোববার থেকে পুরোদমে অফিস আদালত চলবে। তবে  এর আগে থেকেই নগরীতে মানুষ ফিরতে শুরু করবেন। আবারো প্রাণ ফিরে পাবে বন্দরনগরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।