ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের ৩০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
চট্টগ্রামের ৩০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

চট্টগ্রাম : দক্ষিণ চট্টগ্রামের কমপক্ষে ৩০টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। রোববার (২৫ জুন) সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন, চন্দনাইশ ও বাঁশখালীর কয়েকটি গ্রামের কিছুসংখ্যক মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অন্যবছরের মত এবারও ঈদ উদযাপন করছেন।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়নের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফ ও মাদার্শা ইউনিয়নের ২টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়ার দরবার শরীফের ভক্তরা রোজাও একদিন আগে থেকে শুরু করেছিলেন বিধায় একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেছেন । ফলে শনিবার তাদের ৩০টি রোজা সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় মির্জারখীল দরবার শরীফে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন হাজারো মুসল্লী। দরবার শরীফের পীর হয়রত মৌলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাই এর বড় ছেলে  মৌলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন।
 
সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মির্জারখীল দরবার শরীফের অনেক মুরিদ ঈদের নামাজে শরীক হয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন একদিন আগে ঈদুল ফিতর পালনকারী সাতকানিয়ার বাসিন্দা সাংবাদিক দিদারুল আলম।
 
তিনি জানান, দরবার শরীফ ছাড়াও মাদার্শা ইউনিয়ন ও বিভিন্ন গ্রামে মুরিদরা ঈদ জামাতের আয়োজন করেছেন।
 
মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, মাদার্শা গাটিয়া ডেঙ্গা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারাল, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, রওশনহাট, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখের খীল, ডোংরা, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান, ফটিকছড়ির কিছু এলাকাসহ চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ রোববার ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করছেন।
 
এছাড়াও কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও হ্নীলা এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ির বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু লোক একই সময়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। প্রায় ২০০ বছর আগে তৎকালীন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহঃ) একদিন আগে অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানী পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে সারাদেশে মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা এ নিয়ম পালন করে আসছেন।
 
ঈদের জামাত শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি মাধ্যমে কুশল বিনিময় করেছেন। এরপর নিজের ঘরে, এলাকায় ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছেন সৌদিআরবের সঙ্গে মিল রেখে আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপনকারীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad