সেখানেই কথা হয় ইসমাইলের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এক বছর আগে বিয়ে করেছি।
কথা বলতে বলতে ইসমাইল মিলে গেলেন জনশ্রোতে।
বিকেল সোয়া ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রী ইসমাইল। তার মতো হাজারো যাত্রী এই ট্রেনে সওয়ার হয়েছে নাড়ির টানে ফিরতে। এই ট্রেনেও ভেতরে জায়গা না হওয়ায় অনেক মানুষকে ছাদে করে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল সাতটায়, মহানগর গোধূলী বিকেল ৩টায়, চট্টলা এক্সপ্রেস সকাল সোয়া ৮টায়, মহানগর এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১২টায়, সোনার বাংলা বিকেল ৫টায় এবং তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাবে।
অন্যদিকে পাহাড়িকা সকাল সোয়া ৯টায়, উদয়ন এক্সপ্রেস রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে, মেঘনা এক্সপ্রেস বিকেল সোয়া পাঁচটায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে এবং বিজয় এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ও ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে, সাগরিকা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে ৩টায় বাহাদুরাবাদ’র উদ্দেশ্যে ও জালালাবাদ এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৯টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার ছেড়ে যাওয়া প্রায় সব ট্রেনেই যাত্রীর ভিড় ছিল। এর মধ্যে সকালে ছেড়ে যাওয়া বিজয় এক্সপ্রেসে ১০৬৯ জন, চট্টলা ১১৪৩ জন, পাহাড়িকায় ১৩৮৯ জন গোধূলীতে প্রায় ১০০০ যাত্রী ছিল।
শুধু ট্রেনে নয়, বাস ও নৌ পথেও একইভাবে বাড়ি ফিরছে মানুষজন। সব জায়গায় মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে মানুষজন ঘরে ফেরার কারণে নগরী ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে উঠছে। সড়কে গাড়ির সংখ্যাও আগের চেয়ে কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
টিএইচ/টিসি