কিন্তু বাবাহারা হাফিজের সেই স্বপ্ন এখন ধূলিস্যাতের পথে। ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে সে।
হাফিজ উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের মোক্তার আহমদ প্রকাশ লালুর ছেলে। গতবছর তার বাবা মারা যাওয়ার পর লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরেন। টিউশনি আর মজুরের কাজ করে ছোট দুই বোনকে বিয়ে দেন। ঘরে রয়েছে এখনো তার ছোট তিন ভাই ও অভাগী মা।
টানাপোড়েনের সেই সংসারের কর্তা হাফিজও এখন অসুস্থ। ফলে ছোট ভাইদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অনাহারে কাটছে দিন। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে হাফিজ।
কিন্তু সে বাঁচতে চায়। ভাইদেরকে মানুষ করতে চায়। হাফিজকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে তার পরিবার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্রেইন টিউমার ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আনিসুল ইসলামের তত্ত্ববধানে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাফিজের ব্রেইনের টিউমার অপারেশনের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
বাবাহারা হাফিজের পক্ষে ১০ লাখ টাকা জোগাড় করা সম্ভব না হওয়ায় সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার মা ফাতেমা।
উখিয়া মানবপাচার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হামিদ জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে হাফিজের চিকিৎসার জন্য ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সাংসদের ছেলে শাওন ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। হাফিজকে বাঁচাতে প্রতিটি ঘরের দুয়ারে দুয়ারে যাবো।
হাফিজকে বাঁচাতে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ নং-জাহেদুল ইসলাম জাহেদ (হাফিজের বন্ধু) ০১৮৩১১৯৬৪৫৩, (পার্সোনাল) হাফিজ-মোবাইল নং- ০১৮৪০০০৫১৪৬।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘন্টা, জুন ২৩, ২০১৭
টিটি/আইএসএ/টিসি