শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে নগরীর পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে গরুর মাংস কেজিতে ৬৫০, খাসি ৭৫০, দেশি মুরগি ৪০০ ও ফার্মের মুরগি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, পবিত্র শবে কদর ও সামনে ঈদ তাই মাংসের চাহিদা বেশি।
বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো.সানির জানান, খাসির মাংসের চাহিদা বাড়ছে। সপ্তাহখানেক আগে এক ডজন পাঁঠা বা খাসির মাংস বিক্রি হতো এই বাজারে। এখন ১৫-২০টি পাঁঠা বা খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় গরু আগে একটু সস্তায় কিনতে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন বেশি দামে কেনার কারণে মাংসের দাম বাড়ছে। ’
‘এছাড়া পবিত্র শবে কদর ও সামনে ঈদ থাকায় এসময়ে সবাই মাংসটা একটু বেশি খেতে চায়। তাই গরু, ছাগল ও মুরগির দাম বাড়ছে। ঈদ চলে গেলে আবারও গরু ৬০০ বা ৫৫০ এবং খাসি ৭০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০ এর কাছাকাছি বিক্রি হবে’- যোগ করেন সানি।
এত দাম সত্ত্বেও মাংস খাওয়ার প্রবণতা বাড়ার পক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতাদের যুক্তি, জনসংখ্যা উর্ধ্বমুখী। চাহিদা তাই কমেনি। বরং কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা যাচ্ছেতাই দাম বাড়িয়ে দিলেও রমজান মৌসুমে মাংসের কদর বেশি হওয়ায় ক্রেতারা এতো দাম সত্ত্বেও কিনে খাচ্ছেন।
বাজারে নিউমার্কেট এলাকা থেকে মাংস কিনতে আসা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘রমজান মাসে সবজি ও মাছ তেমন খাওয়া হয় না। খেতেও ইচ্ছা করে না, তাই দাম বেশি হলেও পরিবারের জন্য মাংস কিনে নিয়ে যাই। ’
তবে তার অভিযোগ, সরকারের বাজার মনিটরিং বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় থাকলেও মাঠে এর প্রভাব নেই। ফলে জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি