ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুই বন্ধু ধর্ষণের পর খুন করে শিশু সালমাকে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
দুই বন্ধু ধর্ষণের পর খুন করে শিশু সালমাকে সালমা আক্তার

চট্টগ্রাম: নগরীতে সালমা আক্তার নামে এক শিশু নৃশংসভাবে খুন হওয়ার নেপথ্যের রহস্য উদঘাটন করেছে হয়েছে। নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ইমন হাসান (২০) নামে এক খুনীকে গ্রেফতারের পর সে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

জবানবন্দিতে ইমন জানিয়েছেন, শিশুটিকে তারা ‍দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।  

ইমনের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ আরেক খুনী জীবনকে (২০) গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালিউদ্দিন আকবর।

গত ১৫ জুন ভোরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলায় নঈমিয়া ভবন নামে একটি মার্কেটের তিনতলায় ময়লার স্তূপে কাঠের বাক্সভর্তি সালমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।   প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছিল, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

পরিদর্শক ওয়ালিউদ্দিন আকবর বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, তদন্তের সূত্রে তথ্য পেয়ে ইমনকে বুধবার রাতে নগরীর বহদ্দারহাট বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।   ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।  

সূত্রমতে, ইমন নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মাছ কাটার পেশায় জড়িত।   ওই এলাকায় লোহা কলোনিতে তার বাসা।   জীবনের বাসাও লোহা কলোনিতে।   ধর্ষণের ঘটনাস্থল নঈমিয়া ভবনের নিচতলায় জোয়াং করপোরেশন নামে একটি সেনিটারি দোকানের কর্মচারি জীবন।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নঈমিয়া ভবনের পাশে শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটিতে সালমাদের বাসা।  একই এলাকার হওয়ায় জীবনের সঙ্গে সালমার পরিচয় ছিল।    তবে ইমনের সঙ্গে পরিচয় ছিল না।

১৩ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালমাকে প্রলোভন দেখিয়ে নঈমিয়া ভবনের তিনতলায় পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় জীবন।   সেখানে আগে থেকে ছিল ইমন।   নির্জন ওই স্থানে প্রথমে জীবন সালমাকে ধর্ষণ করে।   এরপর ইমন তাকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করে।

ধর্ষকদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সালমা কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি তার বাবা ও মামাকে জানিয়ে দেবে বলে জীবন ও ইমনকে জানায়।   ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তারা সালমার মাথার হিজাব গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।  

এরপর জীবন ওই ভবনের নিচতলায় দোকানে চলে যায়।   ইমন স্বাভাবিকভাবে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে চলে যায়।   গভীর রাতে আবারও দুজন এসে সালমার মরদেহ একটি কার্টনে ভরে ময়লার ভেতরে ফেলে যায়।  

সালমার মরদেহ উদ্ধারের পর তার বাবা পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।  স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সালমার বয়স ৯ বছর বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭

আরডিজি/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।