আদালত মামলা গ্রহণ করে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ওই তরুণী চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রোখসানা বেগমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত হামিদুল ইসলাম ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিট ও বিশেষ শাখায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি রংপুর রেঞ্জে কর্মরত আছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ।
মামলার আরজিতে বাদি উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর একটি মোবাইল চুরির বিষয়ে থানায় জিডি করতে গিয়ে এএসআই হামিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর হামিদের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়।
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে গিয়ে বিভিন্ন সময় সময় অতিবাহিত করার তথ্য উল্লেখ করে বাদি আরজিতে বলেছেন, তার এক দফা গর্ভপাতও করেছেন হামিদ।
এছাড়া গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় হামিদের অফিসে গিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই তরুণী। হামিদ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাকে একটি বিষের বোতল দেন এবং বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার পরামর্শ দেন। এসময় তরুণী সিএমপির বিশেষ শাখায় হামিদের অফিসে বসেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন।
আসামি নিজেই তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণী সুস্থ হওয়ার পর থেকে তাকে পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন কোন ধরনের মামলা না করার জন্য চাপ দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
আরডিজি/টিসি