এদিকে, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) আয়ের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে পরীক্ষায় ফি বাবদ ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা আয় হলেও ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৫০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটে ব্যয়ের নানান খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে পরীক্ষাখাতে।
প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের খাত সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক শওকত আলম বাংলানিউজকে জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে সিংহভাগ আয় হয় জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত আয় থেকে। এ খাত থেকে বাজেটের প্রায় ৯৫ ভাগ আয় হয়। শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, সার্টিফিকেট ও মার্কসিট উত্তোলন ফি থেকে এ আয় হয়। ব্যাংকের এফডিআর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তন, বিভিন্ন পুরনো কাগজ ও দ্রব্যাদি বিক্রয় থেকে বাজেটের ৫ ভাগ আয় ধরা হয়েছে।
জেএসসি পরীক্ষায় আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ হাজার ২২১টি স্কুলে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার নির্ধারিত ফি ছিল ১০০ টাকা। অর্থাৎ এ পরীক্ষায় পরীক্ষার ফি বাবদ আয় হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অথচ পরীক্ষার খাতা, পরীক্ষক, নিরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকের সম্মানি, পরীক্ষণ সংক্রান্ত ব্যয়, বিজি প্রেস ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসসহ নানান খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা।
এ প্রস্তাবিত বাজেটে আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হবে। ঈদের পর প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান শাহেদা ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এসবি/টিসি