ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫০ কোটি টাকার বাজেট, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
৫০ কোটি টাকার বাজেট, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ৫০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। আয় ব্যয়ের নানা খাত দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বাজেট পেশ করা হয়।  যা গতবছর ছিল ৪০ কোটি টাকা।

এদিকে, ‍জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) আয়ের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে পরীক্ষায় ফি বাবদ ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা আয় হলেও ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৫০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটে ব্যয়ের নানান খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে পরীক্ষাখাতে।

এরমধ্যে তিনটি পাবলিক পরীক্ষার (জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি) জন্য ধরা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের ৬০ ভাগ। এ খাতের অধীনে পরীক্ষার পরীক্ষক, নিরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকের সম্মানি, পরীক্ষণ সংক্রান্ত ব্যয়, বিজি প্রেস ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া বোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে ধরা হয়েছে বাজেটের ১৫ ভাগ এবং বিবিধ খাতে ধরা হয়েছে ২৫ বাজেটের ২৫ ভাগ।

প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের খাত সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক শওকত আলম বাংলানিউজকে জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে সিংহভাগ আয় হয় জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত আয় থেকে। এ খাত থেকে বাজেটের প্রায় ৯৫ ভাগ আয় হয়। শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, সার্টিফিকেট ও মার্কসিট উত্তোলন ফি থেকে এ আয় হয়। ব্যাংকের এফডিআর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তন, বিভিন্ন পুরনো কাগজ ও দ্রব্যাদি বিক্রয় থেকে বাজেটের ৫ ভাগ আয় ধরা হয়েছে।

জেএসসি পরীক্ষায় আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ হাজার ২২১টি স্কুলে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার নির্ধারিত ফি ছিল ১০০ টাকা। অর্থাৎ এ পরীক্ষায় পরীক্ষার ফি বাবদ আয় হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অথচ পরীক্ষার খাতা, পরীক্ষক, নিরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকের সম্মানি, পরীক্ষণ সংক্রান্ত ব্যয়, বিজি প্রেস ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসসহ নানান খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা।

এ প্রস্তাবিত বাজেটে আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হবে। ঈদের পর ‌ প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান শাহেদা ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad