জানা গেছে, আশা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লি-তাই জাহাজে করে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে আসে। চালানটি খালাস নিতে আমদানিকারকের পক্ষে বিলঅফএন্ট্রি দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান রূপালি ট্রেডার্স।
মিথ্যা ঘোষণায় সোডিয়াম ক্লোরাইড খালাসের চেষ্টা করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার পণ্য চালানটির খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। মঙ্গলবার পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্টে পাঠায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, লি-তাই জাহাজে বিশটি চালানে সোডিয়াম সালফাইড আনা হয়েছে। ওই জাহাজ থেকে এরই মধ্যে হোসাইন অ্যান্ড সন্স নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান একই পণ্য খালাস নিয়েছেন। তারা মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য নিয়েছেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের একজন যুগ্ম কমিশনার বাংলানিউজকে বলেন, সোডিয়াম সালফাইড ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড খালাস নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ থাকায় একটি চালানের খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠিয়েছি।
কাস্টমসের একটি সূত্র জানিয়েছে, সংগ্রহ করা নমুনা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তা পারেনি। এখন তারা কৌশলে কাস্টমস ল্যাবের রিপোর্ট পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু করেছেন। এজন্য ল্যাবের ক্যামিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রূপালি ট্রেডার্স’র মালিকের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
এমইউ/টিসি