প্রস্তাবিত নতুন শুল্ক কাঠামোয় এদেশে গাড়ি উৎপাদনের পথ চূড়ান্তভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি গাড়ি উৎপাদন খাতে অযৌক্তিকভাবে শুল্ক বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করেছেন সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, একটি ১৬০০ সিসি গাড়ির ক্ষেত্রে গত ১৫ বছর চেসিস ফিটেড ইউথ ইঞ্জিন এবং বডি এ দুধরনের আমদানিতে মোট শুল্ক করাদির পরিমাণ ছিল গড়ে ৫৯ শতাংশ। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও এ দুধরনের আমদানিতে মোট ৫৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ শুল্ক বহাল আছে। তবে প্রস্তাবিত (২০১৭-১৮) বাজেটে এ শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে চেসিস ফিটেড ইউথ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে মোট ৮৯ শতাংশ এবং বডি ইনক্লুডিং ক্যাব’র ক্ষেত্রে ১২৫ দশমিক ৮০ শতাংশ ।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর ফলে স্থানীয় উদ্যেক্তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। গাড়ি সংযোজন শিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই এ ধরনের শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। সরকার এদেশে গাড়ি উৎপাদনের পথ তৈরি করার স্বার্থেই শুল্ক কাঠামোয় সংশোধন আনবে আশা করছি।
যোগাযোগ করলে পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর শুল্ক কাঠামো পর্যালোচনায় দেশের ভেতর গাড়ি সংযোজন ও উৎপাদনের উদ্যেগ নিয়েছি। এখন বাজেটে আমাদের প্রধান কাঁচামাল চেসিস ফিটেড উইথ ইঞ্জিন এবং বডি আমদানিতে অস্বাভাবিক শুল্ক বৃদ্ধির যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা আমাদের এ বিনিয়োগে অনেক বড় ধরনের একটি ঝুঁকি তৈরি করেছে। এতে পণ্যের মূল্য বেড়ে বাজারজাত করতে না পারলে সদ্য স্থাপন করা শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা চাকরি হারাবে। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগের এমন অনিশ্চিত পরিবেশ উদাহরণ হিসেবে দাঁড়ালে তো নতুন নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মনোবল ভেঙে যাবে। আমরা এরই মধ্যে এনবিআরেও আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
টিসি