ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদবাজারে ভালো নেই স্বর্ণ দোকানিরা

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ঈদবাজারে ভালো নেই স্বর্ণ দোকানিরা ঈদবাজারে ভালো নেই স্বর্ণ দোকানিরা। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ঈদবাজারে পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রিপিচ, প্যান্ট, শার্টসহ নানান ধরনের কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি প্রসাধনীর দোকানে বিক্রেতারা দেদারসে বিকিকিনি করলেও ভালো নেই স্বর্ণ দোকানিরা।

নিউমার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেনকা জুয়েলার্সের বিক্রয়কর্মী শেফাল সেনগুপ্ত বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে নানান কারুকাজ করা কানের দুল, নাকফুল, আংটি, গলার হার, চেইনসহ প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণ দোকানে তুলেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই।

ইতোমধ্যে ২০ রমজান পার হয়েছে। এখনও বিকিকিনি একদম হয়নি।

অন্যান্য বছর এসময় ক্রেতারা অর্ডার দিয়ে স্বর্ণ বুঝে নিতো। অথচ এখনও পর্যন্ত তেমন কোন অর্ডারও পায়নি। তাছাড়া খুচড়া যে নাকফুল, আংটি বিকিকিনি হতো তাও এবার হচ্ছে না। বেচাকেনার অবস্থা খুব খারাপ। তবে ঈদের দুয়েকদিন আগে হয়তো কিছু বেচাকেনা হতে পারে। অনেকে ঈদে আপনজনদের উপহার দিয়ে থাকে। সেই সময়ের অপেক্ষায় আছি।

নগরীর নিউমার্কেট খ্যাত বিপণী বিতানের অলংকার জুয়েলার্স, দানু মিয়া গোল্ড, সাহা জুয়েলার্স, বসুন্ধরা জুয়েলার্স, সম্পূর্ণ জুয়েলার্স, বসন্ত বাহার জুয়েলার্স, সান জুয়েলার্স, ন্যাশনাল জুয়েলার্স, সুমা জুয়েলার্স, মেনকা জুয়েলার্স, ক্যানেট জুয়েলার্স, সিলভার টাচ জুয়েলার্স, অশ্মি জুয়েলার্স ঘুরে দেখা যায় স্বর্ণ দোকানিরা ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন। ঈদবাজারে ভালো নেই স্বর্ণ দোকানিরা

অন্যদিকে বিকিকিনি কম হওয়ায় চাঁদরাতে স্বর্ণ কারিগরদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে শংকার কথা জানিয়েছেন নিউমার্কেটের বসন্ত বাহার জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী রবি ধর।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, ক্রেতারা সাময়িকভাবে ইমিটেশনের দিকেই ঝুঁকছে। অথচ ঈদ উপলক্ষে নানান কারুকাজে আংটি, কানের দুল, গহনাসহ লাখ টাকার স্বর্ণ দোকানে তোলা হয়েছে। যা স্বনামধন্য কারিগর দ্বারা তৈরি করা।

‘এবার ক্রেতাদের কাছে হয়তো টাকা-পয়সা কম। তাই ঈদ উপলক্ষে ক্রেতারা স্বর্ণ কিনছেন না’-যোগ করেন রবি ধর।

নিউমার্কেটে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে আসা ফখরুল ইসলাম জানান, মার্কেটে এবার কাপড়ের চেয়ে মহিলাদের প্রসাধনীর দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। আমার মেয়ের জন্য ৩ হাজার টাকা দামের একটি থ্রি-পিচ কিনেছি। থ্রি-পিচের সাথে মানানসই নানান কসমেটিকস কিনতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকার। ঈদ উপলক্ষে এবার ক্রেতাদের কাছ থেকে এসব পণ্যের দাম বেশি নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ ফখরুলের।

বিপণী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সাগির বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে মার্কেটে সেহেরির আগ পর্যন্ত দেদারসে বেচাকেনা চলছে। ক্রেতাদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিরাপত্তা প্রহরীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

স্বর্ণের দোকানে বিকিকিনির কমের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাগির বলেন, স্বর্ণ ব্যবসা সারাবছরের। এবার ঈদ উপলক্ষে হয়তো ক্রেতা কম। তবে ঈদের দুয়েকদিন আগে স্বর্ণের ব্যবসাও চাঙা হবে বলে আশাবাদী তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।