নগরীর ডবলমুরিং থানায় রোববার (১৮ জুন) দুপুরে ওই নারী লিখিত অভিযোগ করার পর পুলিশ শওকত ওসমানকে গ্রেফতারে ব্যাংকে অভিযান চালিয়েছে। তবে এসময় তিনি ব্যাংকে ছিলেন না।
শওকত ওসমান রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের ডিজিএম পদে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়।
ডবলমুরিং থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা অভিযোগকারী নারী ব্যাংকে ডিজিএম শওকত ওসমানের চেম্বারে ছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে তিনি থানায় আসেন। এর আগে শওকত ওসমান ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে থানায় আনার জন্য টিম পাঠানো হয়েছিল। তবে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর পৌনে ২টার দিকে ত্রিশোর্ধ এক নারী নগরীর আগ্রাবাদে ব্যাংকের কার্যালয়ে এসে শওকত ওসমানের খোঁজ করেন। এসময় তাকে ডিজিএমের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। দরজা বন্ধ অবস্থায় তারা প্রায় এক ঘন্টা সেখানে ছিলেন। পৌনে তিনটার দিকে নারী ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। বিকেল তিনটার দিকে শওকত ওসমান বের হয়ে যান।
বিকেল তিনটার দিকে তিনি আবারও পুলিশের একটি টিম নিয়ে ব্যাংকে আসেন। এসময় তিনি হইচই করে ডিজিএম শওকত ওসমানকে খুঁজতে থাকেন। তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, ডিজিএম তার শ্লীলতাহানি করেছেন। পুলিশ ডিজিএমকে খুঁজতে থাকেন। ডিজিএমকে না পেয়ে পুলিশ তার অফিস সহকারীকে থানায় নিয়ে যাবার উদ্যোগ নেন। তখন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নিজের চেম্বার থেকে বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন এবং অফিস সহকারীকে রক্ষা করেন।
জানতে চাইলে ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, শওকত ওসমানের ঠিকানা না বলায় অফিস সহকারীকে ভয় দেখানো হয়েছিল। অভিযোগকারী নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে ঋণের জন্য ব্যাংকে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগে জানিয়েছেন। তাকে স্বামীসহ থানায় আসার জন্য বলেছি। মামলা করতে বলেছি।
জানতে চাইলে ডিজিএম শওকত ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, তার (নারী) সঙ্গে আমার আজ প্রথম দেখা। সে তার বাড়ি আনোয়ারায় আমার এলাকায় বলে আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। এর আগে টেলিফোনে যোগাযোগ করে সে আমাকে নতুন নোট দেয়ার অনুরোধ করে। আমি একজন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে বলে তাকে নতুন নোট দিই।
‘আজ (রোববার) এসে সে ঋণের জন্য অনুরোধ করে। আমি এই ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করি। ব্রাঞ্চ থেকে প্রস্তাব আসলে সহযোগিতা করতে পারব বলে তাকে জানাই। এরপর সে চলে যায়। পরে শুনি সে আমার নামে থানায় অভিযোগ করেছে। ’
বিকেল তিনটার দিকে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যাবার বিষয়ে তিনি বলেন, ফুড পয়জনিং হওয়ায় আমি জিএম স্যারকে বলে অফিস ত্যাগ করেছি। এরপর শুনেছি আমাকে খোঁজার জন্য ব্যাংকে পুলিশ গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
আরডিজি/টিসি