ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ক্রেতার আনাগোনায় সরগরম নিউ মার্কেট

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
ক্রেতার আনাগোনায় সরগরম নিউ মার্কেট ক্রেতার আনাগোনায় সরগরম নিউ মার্কেট

চট্টগ্রাম: বৃষ্টি বন্ধ এবং ঈদ ঘনিয়ে আসায় নগরীর মার্কেটগুলোতে বিকিকিনির ধুম লেগেছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবি, থ্রি-পিচ, শার্ট, প্যান্ট ও শাড়ির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।

 

নগরীর নিউ মার্কেট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ক্রেতাদের কাছে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতে ব্যস্ত দোকানিরা।

দম ফেলার ফুসরত নেই।

মাহী শাড়িজের বিক্রয়কর্মী পার্থ বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় বিকিকিনি কম হলেও এখন পুরোদমে বেচাকেনা চলছে।

৫০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দামের শাড়ি দোকানে ক্রেতাদের জন্য আনা হয়েছে।

জামদানি, কটন, টাঙ্গাইল, প্রিন্টেড, সিল্ক, বেনারসী, কাতান, সুতিসহ নানান কারুকাজ করা শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতারা এবার জামদানি শাড়ি বেশি পছন্দ করছে। ঈদ উপলক্ষে নানান ব্রান্ড্রের প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল দোকানে তোলা হয়েছে।  

শুধু এ দোকানে নয়, নিউ মার্কেটের হান্ডিবাজার, ওয়েস্টউড, শৈল্পিক, মনিকা, অদুদ ফ্যাশন, ক্রাস্ট ফ্যাশন, ব্লুমুন, ইলুরা, বাঙালি বাবু, এ ওয়াদুদ অ্যান্ড কোং, পাবনা শাড়ি, দর্জিবাড়ি, গ্লোরিয়া, ইনুশাইন, ফ্যাশন হাউজ, বেনারসী হাউজ, ঢাকাই জামদানিসহ নিচতলার অধিকাংশ দোকানে ক্রেতারা ভিড় করছে। কেউ শাড়ি, কেউ পাঞ্জাবি, বাচ্চার কাপড়, থ্রি-পিচ, গহনা, কসমেটিকসহ ঈদে প্রয়োজনীয় প্রসাধনী কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

নগরীর খুলশী এলাকা থেকে আসা রুপেশ নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতিবছর ১৫ রমজানের পর এ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বিক্রেতারা বেশি দাম হাকাচ্ছে। গত বছর যে পাঞ্জাবি ১ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে নিয়েছি সেটি এবার ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার কমে বিক্রি করছে না। এছাড়া শার্ট ও প্যান্টের দামের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তাই গজ কাপড় কিনে প্যান্ট সেলাই করতে দিয়েছি।

মৌচাক বিপনী বিতানের বিক্রয়কর্মী শাহাদাৎ হোসেন জানান, মানসম্পন্ন কাপড়ের যথাযথ দাম দিতে চায় না ক্রেতারা। যতই ভাল কাপড় হোক না কেন, দামের ক্ষেত্রে কম দিতে চায়। ৭০০ টাকার প্যান্টের দাম হাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। দর কষাকষি করতেই থাকে। ঈদ উপলক্ষে এবার বাহুবলী নামে থ্রিপিচের বিকিকিনির আধিক্য বেশি থাকলেও অন্যান্য থ্রিপিচ ও শর্টকামিচের বেচাকেনা চলছে দেদারছে। ৫০০ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা মূল্যের থ্রি-পিচ দোকানে বিক্রি হচ্ছে।

বিপনী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সাগির বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগে বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে বেচাকেনা কম হয়েছে। প্রথম দশ রোজায় লোকজন মার্কেটে এসে দেখে চলে যায়। বিশেষ করে ১৫ রমজানের পর ক্রেতারা পুরোদমে কেনাকাটা শুরু করে।

বাচ্চাদের জন্য দুটি কিডস জোন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে ছোট বাচ্চারা খেলাধূলা করছে। ৪ তলা বিশিষ্ট মার্কেটের ৫০৭টি দোকানের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ২৫টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সিডিএ ও ব্যবসায়ী সমিতি যৌথভাবে ২৫ জন নিরাপত্তারক্ষী সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছেন।

এ মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় জুয়েলারী, প্রসাধনীর দোকান, তৃতীয়তলায় জুতা ও ব্যাগের দোকান এবং চতুর্থ তলায় মোবাইলের দোকান রয়েছে। পুরো মার্কেটে নানান নিত্যপণের পাশাপাশি রয়েছে খাবার দোকান ও মসজিদ। এছাড়াও গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে ডিজিট্যাল কার পার্কিং ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।