ড. কামরুল হুদা বলেন, ‘২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে ৪১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। ইউজিসি থেকে পাওয়া গেছে ২৭৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
ইউজিসি থেকে প্রাপ্ত ও সম্ভাব্য আয়সহ ২৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত বাজেট ছিল ২৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
বরাবরের মতো এবারও বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন খাতে। এবার ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি টাকা ৮০ লাখ, যা গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ছিল ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য এই খাতে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা গত বছরে সংশোধিত বাজেট ছিল ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
এছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেনশন ভাতা বাবদ ৫২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, শিক্ষা ও আনুষাঙ্গিক খাতের ব্যয় বাবদ ১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা, সরবরাহ ও সেবা (সাধারণ) খাতে ব্যয় বাবদ ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা, মেরামত, সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন খাতের ব্যয় বাবদ ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং মূলধন মঞ্জুরি (সম্পদ সংগ্রহ ও ক্রয়) খাতে ব্যয় বাবদ ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সিন্ডিকেট।
চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল, ডিন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সিকান্দার চৌধুরী, সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি ও শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সুলতান আহমদ, প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী, অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহসহ সিনেট সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি