কিন্তু কয়েকদিন আগে জেলার বিভিন্ন স্থানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ও পাহাড়ধসের পর থেকে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ কোটি লিটার আর মোহরা পানি শোধনাগার থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে ৮ কোটি লিটার।
এক ধাক্কায় ১০ কোটি লিটার পানি কমে যাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট।
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সংকটের কথা জানিয়ে নগরবাসীকে পরিমিত পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
ওয়াসা সূত্র জানায়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও পাহাড়ধসের কারণে নদীতে কাদার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পানি সরবরাহ ক্ষমতা ২১ কোটি থেকে নেমে ১৩ কোটিতে চলে এসেছে। এ অবস্থায় জনগণের দুর্ভোগ কমাতে কেমিক্যালের মাধ্যমে পানি পরিশোধনসহ রেশনিং প্রক্রিয়ায় পানি সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে পানির দৈনিক চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। এর মধ্যে মোহরা পানি শোধনাগার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার এবং গভীর নলকূপ মিলে ওয়াসা দৈনিক ৩২ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতো। কিন্তু এর মধ্যে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এই সংকট আরও বাড়লো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ধস সহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত মঙ্গলবার থেকে আমরা দৈনিক ১০ কোটি লিটার পানি কম পাচ্ছি। এই সংকট কখন পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারবো বলতে পারছি না। তবে পানি উৎপাদনের হার দিনে দিনে বাড়ছে। বৃষ্টি একেবারে কমে গেলে আশা করছি পূর্বের মতো পানি উৎপাদন করতে পারবো।
এদিকে হঠাৎ করে উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরীর হালিশহর, লালখানবাজার, সুগন্ধা, বাকলিয়া, পাথরঘাটা, চকবাজার, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট।
তবে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা গ্রাহকের দুর্ভোগ কমাতে কেমিক্যালের মাধ্যমে পানি পরিশোধনসহ রেশনিং প্রক্রিয়ায় পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। নগরবাসী আপাতত একটু পরিমিতভাবে পানি ব্যবহার করলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা কিছুটা হলেও সম্ভব হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি