ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জোয়ার-ভাটায় ঘরবসতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
জোয়ার-ভাটায় ঘরবসতি শুক্রবার বিকেলে জোয়ারের পানিতে থই থই করে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড

চট্টগ্রাম: থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। কখনো ইলশেগুঁড়ি, কখনো আবার মুষলধারায়। সৃষ্টি হচ্ছে জলজট। দিনে দুবার জোয়ার আসছে। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পানির নিচে রাস্তা, বাসা-বাড়ি, দোকানপাট এমনকি রান্নার চুলাও।

মহেশখালের দুপাড়ের বাসিন্দাদের এভাবে জোয়ার-ভাটার সঙ্গে ঘরবসতি করতে হচ্ছে এখন।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল তিনটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৯৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার।

দুপুরে জোয়ার আসতে শুরু করেছে ১২টা ১৮ মিনিটে। ভাটা শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টা ১৪ মিনিটে।
আবার জোয়ার আসবে রাত ১২টায়।

যথারীতি শুক্রবার বিকেলেও পানি উঠেছে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, বহুতলা কলোনি, সিডিএ আবাসিক, বেপারিপাড়া, শান্তিবাগ, ছোটপুল, হালিশহর ও গোসাইলডাঙ্গার নিম্নাঞ্চলে।   

শান্তিবাগ আবাসিক এলাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় সড়ক

শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা এমএ কাদের বাংলানিউজকে বলেন, এতদিন মহেশখালের ওপর বন্দরের অর্থায়নে নির্মিত বাঁধের কারণে ভারী বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে জলাবদ্ধতা হতো। এখন দিনে দুবার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অবস্থাটা এমন যে, এখানকার মানুষকে আগের মতো জোয়ার-ভাটা হিসাব করে চলাফেরা করতে হবে। নয়তো রিকশা, সিএনজি অটোরিকশার মতো নৌকা সার্ভিসও চালু রাখতে হবে।

আরেকজন বাসিন্দা স্বর্ণালী বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, মহেশখালের বাঁধ কাটা হলো এখন স্থায়ী স্লুইসগেট নির্মাণের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চাই। নয়তো পুরো এলাকাটি বর্ষা মৌসুমে প্রাণচাঞ্চল্য হারিয়ে ফেলবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হাবিবুল হক বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, মহেশখালের দুপাড়ে কিছু বাসাবাড়ি-দোকানপাট তৈরি হয়েছে সত্তর-আশির দশকে। সেগুলো খুবই নিচুতে। এরপর ক্রমে মানুষ বেইজমেন্ট উঁচু করে নিচতলার মেঝের উচ্চতা বাড়িয়েছে। ফলে জোয়ারের পানিতে ওই নিচু বাসাবাড়িগুলোতে পানি ঢুকে যাচ্ছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে, জলোচ্ছ্বাসের সময় এবং ভারী বৃষ্টি ও জোয়ার একসঙ্গে হলে কয়েকলাখ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, চসিক আগ্রাবাদ এক্সেস রোড দেড়-দুই ফুট উঁচু করে পরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেমসহ উন্নয়নকাজ হাতে নিয়েছে জাইকার অর্থায়নে। পোর্ট কানেকটিং রোডও একইভাবে উন্নয়ন করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে মহেশখালের মুখে স্লুইসগেট দেবে। মহেশখালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খনন, দুপাড়ে রাস্তা ও গার্ডেনিং করার পরিকল্পনা রয়েছে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী বছর থেকে এলাকাবাসী সুফল পাবেন আশাকরি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭

এআর/টিসি      

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।