মহেশখালের দুপাড়ের বাসিন্দাদের এভাবে জোয়ার-ভাটার সঙ্গে ঘরবসতি করতে হচ্ছে এখন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল তিনটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৯৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
যথারীতি শুক্রবার বিকেলেও পানি উঠেছে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, বহুতলা কলোনি, সিডিএ আবাসিক, বেপারিপাড়া, শান্তিবাগ, ছোটপুল, হালিশহর ও গোসাইলডাঙ্গার নিম্নাঞ্চলে।
শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা এমএ কাদের বাংলানিউজকে বলেন, এতদিন মহেশখালের ওপর বন্দরের অর্থায়নে নির্মিত বাঁধের কারণে ভারী বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে জলাবদ্ধতা হতো। এখন দিনে দুবার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অবস্থাটা এমন যে, এখানকার মানুষকে আগের মতো জোয়ার-ভাটা হিসাব করে চলাফেরা করতে হবে। নয়তো রিকশা, সিএনজি অটোরিকশার মতো নৌকা সার্ভিসও চালু রাখতে হবে।
আরেকজন বাসিন্দা স্বর্ণালী বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, মহেশখালের বাঁধ কাটা হলো এখন স্থায়ী স্লুইসগেট নির্মাণের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চাই। নয়তো পুরো এলাকাটি বর্ষা মৌসুমে প্রাণচাঞ্চল্য হারিয়ে ফেলবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হাবিবুল হক বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, মহেশখালের দুপাড়ে কিছু বাসাবাড়ি-দোকানপাট তৈরি হয়েছে সত্তর-আশির দশকে। সেগুলো খুবই নিচুতে। এরপর ক্রমে মানুষ বেইজমেন্ট উঁচু করে নিচতলার মেঝের উচ্চতা বাড়িয়েছে। ফলে জোয়ারের পানিতে ওই নিচু বাসাবাড়িগুলোতে পানি ঢুকে যাচ্ছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে, জলোচ্ছ্বাসের সময় এবং ভারী বৃষ্টি ও জোয়ার একসঙ্গে হলে কয়েকলাখ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, চসিক আগ্রাবাদ এক্সেস রোড দেড়-দুই ফুট উঁচু করে পরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেমসহ উন্নয়নকাজ হাতে নিয়েছে জাইকার অর্থায়নে। পোর্ট কানেকটিং রোডও একইভাবে উন্নয়ন করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে মহেশখালের মুখে স্লুইসগেট দেবে। মহেশখালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খনন, দুপাড়ে রাস্তা ও গার্ডেনিং করার পরিকল্পনা রয়েছে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী বছর থেকে এলাকাবাসী সুফল পাবেন আশাকরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এআর/টিসি