সোমবার ইফতারের আগে বিকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরে যেতে বলা হলেও তখন কেউ সরেনি। মহাবিপদ সংকেত শুরু হওয়ার সাথে সাথে নিরাপদস্থানে ফিরছে তারা।
বিপদ সংকেত বেড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন উপকুলীয় সমিতি পাড়ার মানুষ। সমিতি পাড়া থেকে কোর্ট বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন জানান, ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র আসন্ন প্রভাব থেকে বাঁচতে সোমবার সন্ধ্যার আগেই উপকুলের সব লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
সংকেত বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে এসব মানুষ। অনেকেই গবাদি পশুসহ বিভিন্ন সরাঞ্জাম নিয়ে ছুটে আসছে আশ্রয়স্থলে। এখনো আসার পথে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, অনিরাপদ স্থানে যেন একটা লোকও না থাকে সে ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অনিরাপদ স্থান থেকে দ্রুত ছুটে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, শহরের দৌলত ময়দান, পৌর প্রিপ্যারাটরি স্কুল ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় ভবনে প্রায় ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আরও ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়ের সন্ধ্যানে শহরের দিকে আসছে।
এদিকে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি জানান, ইতিমধ্যে মধ্যে ঝুকিপূর্ণ এলাকা মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সাইক্লোন সেল্টারে। দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে মানুষকে বুঝিয়ে নিরাপদস্থানে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
টিটি/টিসি