ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

'মোরা' আতঙ্কে উপকূলের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
'মোরা' আতঙ্কে উপকূলের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স চেকপোস্টের তিনটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

পতেঙ্গা থেকে: ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' আতঙ্কে উপকূলের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন লালদিয়ার চর এলাকার কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ১১ নম্বর ঘাট এলাকায় অবস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স চেকপোস্টের তিনটি ভবনে।

সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পর রাত আটটা থেকে মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র আসতে শুরু করেছেন। মানুষজনের জন্য মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স চেকপোস্টের তিনটি ভবনই খুলে দেওয়া হয়।

সোমবার রাত নয়টার দিকে দেখা যায়, চেকপোস্টের তিনটি ভবনের দুটি ইতিমধ্যে ভরে গেছে। দুটি ভবনের দ্বিতীয় তলাতেই তারা আসন পেতে বসে-শুয়ে আছেন।

প্রায় সবাইকে বালিশ-কাঁথাসহ প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

আশ্রয় কেন্দ্রে উপকূলীয় এলাকার মানুষ।  ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন দিনমজুর মোহাম্মদ আমির হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, 'সকাল থেকেই মাইকিং করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে। তাই সন্ধ্যা হতেই আর দেরি করিনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলে এসেছি। ' চেকপোস্টের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, এটা সেরকম কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নয়। তবে মানবিকতার খাতিরে প্রতিবারই ঘূর্ণিঝড়ের সময় এটি খুলে দেওয়া হয়। এবারও খুলে দেওয়া হয়েছে তিনটি ভবন। ভবনের ভেতরে চেয়ার-টেবিল সরিয়ে তাদের জন্য জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭

টিএইচ/এআর/টিসি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।