বন্দরের যন্ত্রপাতি সংরক্ষণ ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো.ওমর ফারুক। এছাড়া ৭ নম্বর সংকেত থেকে বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলায় তিন নম্বর অ্যালার্ট বাতিল করে চার নম্বর অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্দরসচিব জানান, আবহাওয়া অধিদফতর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার আগেই ‘মোরা’ মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে বন্দরে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।
তিনি বলেন, বন্দরের অ্যালার্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান মহোদয়। বন্দরের যন্ত্রপাতি ও সম্পদ সংরক্ষণে সবাইকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন। সম্ভাব্য যেকোনো ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় জরুরি টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস এবং জেটিতে অবস্থানরত জাহাজে কনটেইনার ও কার্গো লোডিং-আনলোডিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ও আওটার মিলিয়ে ১২৭টি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে সোমবার সকালে বন্দর জেটিতে বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী ১৬টি জাহাজ ছিল। জেটি থেকে সব জাহাজকে আউটারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রিভার মুরিং জেটিতে থাকা ১০টি জাহাজকেও গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭/আপডেট
এমই্উ/টিসি/জেএম