নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, গত ২৪ মে সিএমপির মাসিক অপরাধ সভায় এবছর ফুটপাতে ইফতারির দোকান বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওইদিন নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় ফুটপাতে ইফতারির দোকান দেখলে সেগুলো অপসারণের নির্দেশ দেন সিএমপি কমিশনার।
এদিকে নগরীর নিউমার্কেট, কোতোয়ালী মোড়, আন্দরকিল্লা ও সিনেমা প্যালেস এলাকায় রোববার (২৮ মে) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ফুটপাতের উপর ইফতারিসহ বিভিন্ন অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে পুলিশ। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী জোন) জাহাঙ্গীর আলম এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
একইভাবে নগরীর আরও কয়েকটি এলাকায় ফুটপাতের উপর অবৈধ দোকান উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
প্রতিবছর রমজানে ফুটপাতের উপর নামীদামী দোকানগুলো ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসে। ছোট ছোট দোকানের পাশাপাশি ইফতারির পসরা নিয়ে ফুটপাতে বসেন মৌসুমি দোকানদাররাও। এতে ফুটপাতের উপর জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উপর হাঁটাচলা করতে গিয়ে সৃষ্টি হয় যানজট।
ফুটপাতের উপর ইফতারির দোকান বসতে না দিলেও আগে থেকে দখলে থাকা ফুটপাত উদ্ধারে এবার কোন কার্যক্রম হাতে নেয়নি সিএমপি।
২৪ মে এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার বলেন, ঈদ পর্যন্ত রাস্তার এক ইঞ্চি জায়গাও হকারদের দখল করতে দেয়া হবে না। আপাতত ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি না। কারণ ফুটপাত দখলমুক্ত করার একটি কর্মসূচি মেয়রের নেতৃত্বে নেয়া হচ্ছে। ঈদের পর এটা শুরু হবে। সেজন্য আমরা রাস্তা যাতে দখল না হয় সেই ব্যাপারে জোর দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
আরডিজি/টিসি