ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লাইন ধরে ইফতার কিনতে হয় বোম্বেওয়ালার দোকানে

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
লাইন ধরে ইফতার কিনতে হয় বোম্বেওয়ালার দোকানে লাইন ধরে ইফতার কিনতে হয় বোম্বেওয়ালার দোকানে (ছবি: উজ্জল ধর, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম: ‘বোম্বেওয়ালার স্পেশাল কাবাব, জিলাপি, হালিম আর ছমুচা কিনতে চেয়েছিলাম।  কিন্তু সিরিয়ালই তো পাচ্ছি না।  দুপুর আড়াইটা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এতো ভিড়, কাছেই যেতে পারছি না। ’

রোববার (২৮ মে) বিকেলে নগরীর এনায়েতবাজার বাটালি রোডে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের পুরনো রয়েল বাংলা সুইট হাউসে (প্রকাশ বোম্বেওয়ালা সুইটস) ইফতার কিনতে আসা রেয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী শফিউল মোস্তফা বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।

শফিউল মোস্তফা আরও বলেন, ১০-১৫ বছর ধরে বোম্বেওয়ালার দোকান থেকে আমি ইফতার কিনছি।

  বিহারিদের তৈরি ইফতারের সুনাম আছে।   সেজন্য দুপুর থেকেই এই দোকানে ভিড় লেগে যায়।

রমজান শুরু হলেই পরিবারের সবাই প্রতিদিন বোম্বেওয়ালার ইফতারির জন্য অপেক্ষা করেন বলেও জানান শফিউল মোস্তফা।

শুধু শফিউল আলম নয়, এরূপ কয়েক’শ ক্রেতা বোম্বেওয়ালার স্পেশাল আইটেম কিনতে ভিড় করেছে দোকানটিতে।  ক্রেতার আনাগোনায় বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলারও যেন ফুরসত নেই।  প্রায় ১৫-২০ জন বিক্রয়কর্মী ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে সন্তুষ্ট করতে হিমসিম খাচ্ছেন।

দোকানের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘রমজানের সময় প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ টাকার বিক্রি হয়।  দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রমজানে স্পেশাল ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হয়।

বোম্বেওয়ালা সুইটসের বিক্রয়কর্মী মরতুজা বাংলানিউজকে বলেন, এবার স্পেশাল কাবাব, জিলাপি, হালিম, ছমুচা, সেমাইসহ প্রায় ৫০ আইটেম বিক্রি করা হচ্ছে।  এর মধ্যে প্রতি কেজি হালিম ৪৫০ টাকা, জিলাপি ২০০ টাকা, সেমাই ২২০ টাকা, প্রতি পিচ কাবাব ১৫ টাকা, ছমুচা ১৫ টাকা, প্রতি কেজি রসমালাই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, ফিরনি ২৫০০ টাকা এবং মিষ্টি দই ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাশেদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাটালি রোড এলাকায় আমাদের বসতি। পবিত্র রমজান এলেই বোম্বেওয়ালার এ দোকানে রোজাদারেরা ইফতার কিনতে ভিড় করেন।  কেননা এ দোকানের স্পেশাল ইফতার আইটেমগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন।  ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুরচপ অন্য দোকান থেকে কিনলেও নগরীর খাবারপ্রিয় লোকজন ইফতারীর স্পেশাল আইটেমগুলো বোম্বেওয়ালার দোকান থেকে কিনেন।

বোম্বেওয়ালা সুইটসের মালিক মইজ আহমদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ দোকানে সারাদিন অভুক্ত থাকা রোজাদারদের সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন খাবার খাওয়াতে আমরা বদ্ধপরিকর।  নামকরা বাবুর্চির মাধ্যমে ইফতারির স্পেশাল আইটেমগুলো তৈরি করা হয়। ক্রেতারা সন্তুষ্ট হলেই আমরা খুশি।

নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকা থেকে আসা মোবারক বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের সকলে রমজান মাসু জুড়ে বোম্বেওয়ালার স্পেশাল আইটেম খাওয়ার প্ল্যান হয়েছে। এ অনুযায়ী কিনতে আসলাম। কিন্তু স্পেশাল আইটেম কিনতে যে ভিড়, তা অসহ্য। দোকানটি আরো বড় পরিসরে হলে ভাল হতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।