ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিক্ষক শ্যামল ভক্তকে মুক্তি না দিলে আন্দোলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
শিক্ষক শ্যামল ভক্তকে মুক্তি না দিলে আন্দোলন শিক্ষক শ্যামল ভক্তকে মুক্তি না দিলে আন্দোলন

চট্টগ্রাম: নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে রমজানের বন্ধের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটসহ প্রতিবাদী কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হবে।

শনিবার (২৭ মে) নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব ঘোষণা দেন।
 
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) যৌথ উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
বাশিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরীর সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর।
 
 
‍সভায় বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সাংসদ পরিবারের ষড়যন্ত্র বাংলার শিক্ষক সমাজ মেনে নেবে না।
ওই পরিবারকে খুশি করার জন্যই পুলিশ মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। পুলিশ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ আচরণ করেছে, মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। অথচ তিনি হৃদরোগসহ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। তাই অবিলম্বে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
 
বক্তারা আরও বলেন, মামলার বাদী পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের অভিযোগ, চাকরি এমপিও ভুক্ত করে দেয়ার কথা বলে যে ঘুষের টাকা প্রদানের মিথ্যা অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। অথচ প্রধান শিক্ষক একা শিক্ষক নিয়োগ করতে পারেন না। সাংসদ সেলিম ওসমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অথচ ওই সাংসদ যখন কান ধরে উঠ বস করানোর ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনা হলে সাংসদ সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, শিক্ষককে নয়, নাস্তিককে শাস্তি দেয়া হয়েছে। বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে কোনোভাবেই তাঁকে চাকুরীচ্যুত করতে না পেরে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ধর্মীয় উস্কানির লেবাস লাগিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে এ দেশের শিক্ষক সমাজও বসে থাকবে না বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষক নেতারা।
 
বাকবিশিসের অধ্যাপক তড়িৎ ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবুল মনসুর হাবীব, প্রদীপ কানুনগো, শান্তি রঞ্জন চক্রবর্তী, নুরুল হক সিদ্দিকী, শিমুল মহাজন, খুরশিদ রোকেয়া, রাজু হোসেন, মো. মহসিন, শ্যামল দাশ, এম এ মালেক, অজিত দাস, অসীম চক্রবর্তী, বিচিত্রা চৌধুরী, ভানু রাণী দে প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।