শনিবার (২৭ মে) নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থিত কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, বহদ্দারহাট ও ইপিজেড বাজারে এই অভিযান চালানো হয়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে অত্যাবশ্যকীয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও কাপড়ের মূল্যসহ সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিমের সদস্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী ও মো. তৌহিদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী নগরীর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ও বহদ্দারহাট এলাকায় পরিচালিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের সময় মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এসময় দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং অধিক দাম রাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮,৪০ এবং ৪৫ নং ধারা অনুযায়ী এবং ওজনে কারচুপি এবং বিএসটিআই রেজিস্ট্রেশন বিহীন সঠিক পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার না করায় ‘দ্য স্ট্যান্ডার্ডস অব ওয়েটস অ্যান্ড মেজার্স অর্ডিন্যান্স,১৯৮২’ এর ২৫ ও ৩২ ধারা মোতোবেক দুইটি আইনের আওতায় মোট ৬ টি মামলায় সর্বমোট ২৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
নগরীর ইপিজেড এলাকায় শাক-সবজির পাইকারি বাজার এবং এস.আর চৌধুরী বাজারে পরিচালিত অন্য আরেকটি বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. তৌহিদুল ইসলাম।
মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা কালে বিএসটিআই রেজিস্ট্রেশন বিহীন ও মেয়াদবিহীন পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করায় ‘দ্য স্ট্যান্ডার্ডস অব ওয়েটস অ্যান্ড মেজার্স অর্ডিন্যান্স,১৯৮২’ এর ৩১ ধারার অপরাধ অনুযায়ী ৪৬ মোতোবেক দুইটি দোকানকে ৫ টি দোকানকে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় ও অপর ১ টি দোকানকে চিনির অতিরিক্ত মূল্য রাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারা অনুযায় অর্থদণ্ড করা হয়। সব মিলিয়ে ৮ টি মামলায় সর্বমোট ১৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে।
অভিযানের সময় ক্যাব প্রতিনিধি, বাজার কমিটির সদস্যগণ এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।