নিপ্পন এক্সপ্রেস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল আলম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, এস আর এন্টারপ্রাইজ নামে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানকে মংলা বন্দর থেকে সেতু এলাকায় নদীপথে ২১ হাজার টন পাইল পাইপ পরিবহনের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় প্রতিষ্ঠানটিকে পরবর্তীতে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
রেজাউলের বলেন, কার্যাদেশ প্রত্যাহারের পর তারা ১০ কোটি টাকা দাবি করে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ আদালতে দাখিল করেন। আদালত আমাদের কাছে জবাব চেয়েছেন।
এস আর এন্টারপ্রাইজের মালিক হামিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের ২৯ জুন সাতটি ধাপে ২১ হাজার মেট্রিকটন পাইল পাইপ পরিবহনের জন্য ২২টি বার্জ ভাড়া দেয়ার চুক্তি হয় নিপ্পনের সঙ্গে। ২১ জুলাই নিপ্পনের কার্যাদেশ মতে জাহাজ থেকে ১৩টি বার্জে পাইল পাইপ খালাস শুরু করা হয়। প্রতি বার্জ ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার ভাড়ায় চুক্তি হয়েছিল।
চুক্তি অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে বার্জ থেকে পাইল পাইপ খালাসের কথা। কিন্তু নিপ্পন কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব সমস্যার কারণে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাইপগুলো খালাস করাতে পারেনি। এস আর এন্টারপ্রাইজ বাড়তি ভাড়াসহ ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা দাবি করে।
এরপর দ্বিতীয় শিপমেন্টে ৯টি বার্জে পাইল পাইপ খালাস শুরু হয়। ৩০ দিনের জায়গায় সেগুলোও তিন মাস ধরে বসে থাকে নিপ্পনের দাপ্তরিক সমস্যার কারণে। এতে এস আর এন্টারপ্রাইজ ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
দুটি শিপমেন্ট বাবদ ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা পাওনা এস আর এন্টারপ্রাইজকে পরিশোধ করে নিপ্পন। বকেয়া থাকে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
দুটি শিপমেন্টের পর চুক্তিভঙ্গ করে আরও পাঁচটি শিপমেন্টের কাজ আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেয় এস আর এন্টারপ্রাইজ। এতে প্রতিষ্ঠানটি ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করছে।
সর্বমোট ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে গত ১৯ মার্চ হামিদুর রহমান প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সিভিল মামলা দায়ের করেন। আদালত নিপ্পনের কার্যক্রমের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে মেঘনা ও কাঁচপুর সেতুতে পাইল পাইপ সরবরাহ বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন নিপ্পনের রেজাউল আলম।
তবে হামিদুরের দাবি, নিপ্পন আদালতের আদেশ অমান্য করে গোপনে পাইল পাইপ সরবরাহ করছে।
রেজাউল বাংলানিউজকে বলেছেন, তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে আদালতে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি