ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ম্যাডাম ভিশন নয়, খাম্বা নিয়ে এসেছেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
‘ম্যাডাম ভিশন নয়, খাম্বা নিয়ে এসেছেন’ শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির শিক্ষাবৃত্তি তুলে দেওয়া হচ্ছে

চট্টগ্রাম: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘ম্যাডাম ভিশন নয়, খাম্বা নিয়ে এসেছেন।’  

শনিবার (২৭ মে) সকালে নগরীর মুসলিম হলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা কথা বলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করে ম্যাডাম ভিশন নিয়ে এসেছেন।

তার মাথায় খাম্বা ছিল। তার ছেলেরা দেশের টাকা লন্ডন, সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছে।
দেশে ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এ ষড়যন্ত্র লিপ্ত। তাদের প্রতিহত করে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত করতে হবে। ’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর দেশ বিপদ পড়ে গিয়েছিল। সেইসময় থেকে টানিং পয়েন্ট শুরু হয়। পরবর্তী যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন থেকে দেশের উন্নয়ন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উন্নিত করছেন। প্রধানমন্ত্রী ভিশন দিয়েছেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহেদা ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যত। সুন্দর জাতি গঠন করতে হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে শহর এলাকার শিক্ষকদের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের পাঠদানে আরও বেশি জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়তে প্রয়োজনীয় বিষয় মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হবে। তাহলেই শিক্ষার্থীরা দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ’ 

সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘শুধু শিক্ষায় শিক্ষিত নয়, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষা হতে হবে নৈতিকতা সম্পন্ন। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে কোন খোঁজ খবর না রাখলে হবে না। স্কুলে এবং বাইরে ছেলে-মেয়েরা কার সাথে চলাফেরা করছে সে বিষয়ে অভিভাবকদের সজাগ থাকতে হবে। যাতে কোন খারাপ কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয়। সুশিক্ষা ও নৈতিকতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পারবে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এক্ষেত্রে শহরের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। তাই জেলা পরিষদের বৃত্তিতে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে আরও বেশি তরান্বিত করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল, কলেজকেও এমপিওভূক্ত এবং সরকারিকরণ করছেন। ম্যানেজিং কমিটি যাতে যেনতেনভাবে শিক্ষক নিয়োগ করতে না পারেন সেজন্য বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন।  ’

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন অধিকারী।

জেলা পরিষদের সচিব শাব্বির ইকবালের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী আবদুল ওয়াহাব, মহিলা সদস্য রেহেনা ফেরদৌস চৌধুরী।

চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দেবব্রত দাশ, রেহেনা আকতার, জাফর আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম বেদারসহ জেলা পরিষদের সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

এবার জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দের আওতায় কলেজ ও মাদ্রাসা সমমানের ৪০৫ শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের ৬১ শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ৬ হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে। অস্বচ্ছল ও মেধাবি মোট ৪৬৬  শিক্ষার্থীকে ২৩ লাখ ৯১ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫৫০ জন মেধাবি ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে মোট ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।