ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাজার বছর আগের নিদর্শন এখনও যেন ‘বাস্তব’!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
হাজার বছর আগের নিদর্শন এখনও যেন ‘বাস্তব’! জাদুঘরের ভেতরের দৃশ্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের পশ্চিম পাশে একটি দ্বিতলা ভবন। প্রথম তলায় ঢুকতেই চোখে পড়বে প্রাচীন সব নিদর্শন। দ্বিতীয় তলায়ও একই চিত্র।

পুরো কক্ষজুড়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে একাধিক পোড়ামাটির ফলক, ধাতুচিত্র, অলংকৃত ইট, কাদামাটির মূর্তি, প্রাচীন মুদ্রা, জপমালা এবং মৃতশিল্প। হাজার বছর আগের এইসব নিদর্শন এমনভাবে যত্ন করে রাখা হয়েছে, যেন এই মাত্র সংগ্রহ করে এনে রাখা হয়েছে!

সীতাকুণ্ডে পাহাড়ী এলাকায় একসময় যে আদিম পরিবারের অস্তিত্ব ছিল সেটির দৈনন্দিন চিত্রও বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জাদুঘরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

নগরীর নাসিরাবাদ থেকে পাওয়া টার্সিয়ারি যুগের একটি মৎস-জীবাশ্মও এই সংগ্রহশালায় রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অসামান্য কাঠের জীবাশ্ম।

রয়েছে বাংলার প্রাচীন স্থানসমূহের কিছু সংখ্যক মূর্তি, যার বেশিরভাগ কাদামাটি দিয়ে তৈরি।  মূর্তিগুলো সাধারণত পশু এবং মানুষের গঠন প্রকাশ করে থাকে। এছাড়াও পোড়ামাটি দিয়ে সজ্জিত মন্দিরের অভ্যন্তর ও বাহিরের ভাস্কর্যের বিভিন্ন নমুনাও রয়েছে এখানে।

জাদুঘর ভবনের প্রথম তলায় অর্ন্তভুক্ত রয়েছে, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কোষ গ্রন্থাগার, প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ গবেষণাগার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর সংরক্ষণাগার, নথি ও গবেষণা সম্পদ কেন্দ্র, প্রদর্শনী ও কর্মশালার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর কার্যালয়। এছাড়া জাদুঘর ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রদর্শনীর জন্য পাঁচটি গ্যালারি রয়েছে। জাদুঘরের ভেতরের দৃশ্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জাদুঘরে প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এসে ভিড় জমান। প্রাচীন এই নিদর্শনগুলো দেখতে এসেছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ‍ইনস্টিটি‌উটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি প্রায় সময়ে এই জাদুঘরে এসে বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শনগুলো দেখি। বড়ই অদ্ভুত লাগে ! কত হাজার বছর আগের নিদর্শন এখনও যেন বাস্তব!’

ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আনিকা তাবাচ্ছুম তান্নি বলেন, ‘ইতিহাসের এই নিদর্শন সংগ্রহ করে রাখায় তা হারিয়ে যায়নি। এখনও আমরা সেই যুগের মানুষের কৃষ্টি-কালচারগুলো অবলোকন করতে পারছি। আহা! আগের টেলিফোন ও ভিসিআর কি রকম ছিল সেটিও এখানে সংগ্রহ রয়েছে। নিদর্শনগুলো দেখলে অবাগ লাগে। ’

বাংলাদেশ সময়:১৩১৫ ঘণ্টা, ২৭ মে, ২০১৭

জেইউ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।