ফলে বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে গরমের পারদ। তাতেই ঘেমেনেয়ে একশা।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায় নগরীর সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে দেখা গেছে গাছের নিচে সারিবদ্ধভাবে রাখা শ-খানেক রিকশা।
৫০ বছর বয়সী মো.সেলিম। বাসা নতুন চাঁন্দগাও। ৩৫ বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে এরকম গরম, এত গরম আগে কখনো অনুভব করেনি। একটুখানি রিকশা চালালেও হাঁপিয়ে উঠতে হয়।
গাছের নিচে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বহদ্দারহাট থেকে আসা এক দিনমজুর। তিনি বলেন, ‘বাসা বহদ্দারহাট। ছেলে-মেয়ে চারজন। কিন্তু বাসার ভেতর এতো গরম থাকা যায় না, ঘুমতো দুরের কথা। তাই প্রতিদিন কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে চলে আসি। ’
সিআরবির শিরিষতলায় কাগজের পাখা দিয়ে বাতাস করছিলেন কয়েকজন। এর মধ্যে ছিলেন সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, প্রচুর গরমে প্রায় আধমরা হয়ে গেছি। দিনের অনেকটা সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ঘুমাতে পারি না। এখানে অন্য জায়গা থেকে একটু ঠান্ডা পরিবেশ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বাড়বে এবং শুকনো গরম হাওয়া ঢুকবে।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিসের টেলিফোন অপারেটর মেঘনাথ বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি