তিনি বলেন, সুতরাং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ থেকে যে ব্যাচটি বেরিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে শুধু আরবান আর্কিটেকচার নয়, রুরাল আর্কিটেকচার নিয়েও ভাবতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়ের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের প্রথম ব্যাচের ফাইনাল জুরি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে এদেশের লোকসংখ্যা সোয়া ৪ কোটি, এখন ১৭ কোটি। এদের অধিকাংশ লোক এখনও গ্রামে বাস করলেও এখনও গ্রামে পুকুর, মাঠ, খাল, বিল প্রভৃতির অস্তিত্ব আছে।
স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল শাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুরার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য স্থপতি ঢাকা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ড. শামসুল ওয়ারেস, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ঢাকার স্থাপত্য বিভাগের প্রফেসর ড. কাজি আজিজুল মওলা, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর আশিকুর রহমান, চুয়েটের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল লতিফ, আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুজাউল খান এবং বিধান বড়ুয়া।
ড. অনুপম সেন বলেন, পুকুর, মাঠ, খাল, বিল ইত্যাদির অস্তিত্ব গ্রামের বৈশিষ্ট্য। এদেশের শহরের বর্তমান বৈশিষ্ট্য হলো, পুকুর, মাঠ কোনকিছু নেই।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান তিনি বলেন, উপমহাদেশ আর্কিটেকচারের জন্য কম প্রসিদ্ধ নয়। এখানেই তো রয়েছে তাজমহল। বিশ্বের মধ্যে একসময়ের সুউচ্চ ভবন চিয়ার্স টাওয়ারের স্থপতি ছিলেন এদেশের নাগরিক এফ আর খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমইউ/টিসি