ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রমজানে সিএমপির ‘৩০ ভাগ বেশি স্বস্তি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
রমজানে সিএমপির ‘৩০ ভাগ বেশি স্বস্তি’ সিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন (ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম: নগরবাসীকে রমজানে গতবারের চেয়ে ৩০ ভাগ বেশি স্বস্তি দেয়ার টার্গেট করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।  সিএমপি এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুইভাগে ভাগ করেছে।  আর যানজট নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সিএমপি।

বুধবার (২৪ মে) রমজান ও ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার।

সিএমপি কমিশনার জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুই পালায় ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ, অন্যান্য পুলিশ বাহিনীর সদস্য, র‌্যাব ও এপিবিএন থাকবে।

  সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রথম পালা এবং রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পালা।

রমজানের প্রথম ১৫ দিন এক পালা এবং শেষের ১৫দিন দুই পালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে তিনি জানান।

বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০০ শিক্ষার্থীকে এবার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার কথাও জানান সিএমপি কমিশনার।  তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা ওই মার্কেটে আগত ক্রেতাদের বোঝাবেন যে আমার এখানে পার্কিং নেই।   আপনি দয়া করে দূরবর্তী কোন স্থানে যেখানে অনুমতি পাবেন সেখানে গাড়ি রাখুন।

এছাড়া রমজান জুড়ে রাস্তায় কোন গাড়ি অবৈধভাবে পার্কিং করতে দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।   এজন্য ১০টি মোড়কে টার্গেট করে মাইকে প্রচারণা চালানো হবে।   মোড়ে পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।  বামপাশে যাতে সার্বক্ষণিকভাবে গাড়ি চলাচল করে সেটা নিশ্চিত করা হবে।      

তিনি জানান, নগরীতে পার্কিংয়ের জন্য ৪২টি স্পট মার্কিং করে দেয়া হয়েছে।  এর বাইরে গাড়ি রাখা যাবে না।

প্রত্যেক মার্কেটে গাড়ি পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা আনার কথাও বললেন সিএমপি কমিশনার।   এজন্য প্রথমবারের মতো পাঁচটি মার্কেটের সামনে ডিজিটাল ডিসপ্লে রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।  ডিসপ্লেতে নিউমার্কেট, চিটাগং শপিং কমপ্লেক্স, সানম্যার, মিমি সুপার মার্কেটের কোথায় পার্কিং খালি আছে সেটা লেখা থাকবে।  

সিএমপি কমিশনার জানান, আফমি প্লাজা থেকে ষোলশহর দুই নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তায় কোন গাড়ি পার্কিং করতে দেয়া হবে না।   নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর ও ৩ নম্বর গলিতে এক লাইনে গাড়ি পার্কিংয়ের অনুমতি দেয়া হবে।   আফমি প্লাজার পাশ দিয়ে যে সড়ক গেছে সেটাতে আরেকটা পার্কিং করা হবে।    

তিনি জানান, রিয়াজউদ্দিন বাজার এবং তামাকমুন্ডি লেইনে পার্কিংয়ের উদ্যোগ মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে।   মিউনিসিপ্যাল স্কুল মাঠ এবং রেলস্টেশনের সামনে খালি জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এছাড়া প্রথমবারের মতো টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করছে।   তারা লালদিঘীর মাঠ ভাড়া করছে বলে জানান সিএমপি কমিশনার।  তিনি বলেন, টেরিবাজারে ঢোকার মুখ থেকে বের হওয়া পর্যন্ত রিকশা-ভ্যান কিছুই চলতে দেয়া হবে না।   সেখানে কাউকে ঢুকতে হলে পায়ে হেঁটেই যেতে হবে এবং বের হতে হবে।

সিএমপি কমিশনার বলেন, গত বছরের তুলনায় ৩০ ভাগ উন্নতি ও পরিবর্তন দৃশ্যমান করতে চাই।   আশা করি স্বস্তির জায়গা গতবারের চেয়ে ৩০ ভাগ বেশি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য, মাসুদ উল হাসান এবং সালেহ মো.তানভির।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।