ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগের বিষয়ে ব্র্যান্ডিং করুন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
‘প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগের বিষয়ে ব্র্যান্ডিং করুন’ সংবাদ সম্মেলনে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার সহ অতিথিরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার বলেছেন, ‘আমি আপনাদের কাছে একটি আপিল করতে চাই। মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দশটি বিশেষ উদ্যোগ তার ব্র্যান্ডিং আমি করতে চাই। আমি সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনা ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর এই দশটি উদ্যোগের বিষয়ে লিখবেন, জনগণের কাছে পৌঁছে দেবেন-এটাই আমার অনুরোধ।’

বুধবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তথ্য অধিদফতর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রীর এই ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হলো-একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম এই নারী প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তথ্যকে যতোভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে ততই জনগণ সচেতন হবে।

এই অংশীদারিত্ব বাড়াতে সাংবাদিকরাই মূল ভূমিকা রাখতে পারেন। তাদের ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে হবে। ’

তিনি সরকারের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন হিসেবে সংবাদকর্মীদের কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘সরকার কী করছে তা জনগণের কাছে পৌঁছে না। শেখ হাসিনার এই দশটি বিশেষ উদ্যোগের বিষয়ে আপনারা ব্র্যান্ডিং করবেন। কারণ এগুলো যদি বাস্তবায়ন করা যায়, শুধু সরকারের নাম হবে না। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যেতেও আর কোনো বাধা থাকবে না। ’সংবাদ সম্মেলনে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার

দুর্নীতির কারণে অনেক উদ্যোগ জলে যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই দুর্নীতি থামাতে প্রধানমন্ত্রী সব প্রক্রিয়া ডিজিটাল করে দিলেন। যন্ত্রকে তো আর ফাঁকি দেওয়া যায় না। তাই দুর্নীতি আর করা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মূল লক্ষ্য ছিল দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা। সেই সাফল্য ধীরে ধীরে দেশ পেতে শুরু করেছে। ’

জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ আকাশ-পাতাল পার্থক্য। আমরা নিজস্ব চিন্তায় আমাদের দেশকে সাজাতে শুরু করেছি। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান সম্ভাবনাময়ী একটি দেশ। ’

তিনি সংবাদমাধ্যমকে উদারভাবে সমস্যা-সম্ভাবনার কথা লেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা জনগণের হয়ে কথা বলুন। আমাদের প্রশংসা করুন তা চাই না। কী বাকি রয়ে গেছে, কী করা হয়নি-সেসব বিষয় তুলে ধরুন। এর ফলে আমরা সেসব সমাধান করতে পারবো। একসঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো। ’

চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক অনেক বড় প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম দেশের অক্সিজেন যোগান দেয়। এটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। চট্টগ্রামে বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই কাজে যাতে কোনো হেরফের না হয় সেজন্য আপনারা লেখনির মাধ্যমে পাহারা দেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।