ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনসিটির যন্ত্রপাতি: পাঁচ বছর পর ডিপিপি বাস্তবায়ন শুরু

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এনসিটির যন্ত্রপাতি: পাঁচ বছর পর ডিপিপি বাস্তবায়ন শুরু চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম: ১ হাজার ১২০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালের জন্য ছয় ধরনের ৬১টি যন্ত্রপাতি কিনতে ২০১২ সালে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে একটি যন্ত্রও কিনতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

তবে ২০১৭ সালে রিভাইজড ডিপিপি তৈরির পর কাজে অনেকটা গতি এসেছে। এরই মধ্যে ১১টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এরমধ্যে তিনটি চলতি মাসেই শিপম্যান্ট হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ৬টি আরটিজি ক্রয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ডিপিপি তৈরির পর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এসব যন্ত্রপাতির ক্রয় পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত দেওয়ার জটিলতার সৃষ্টি হয়। তবে সংসদীয় কমিটির একজন সদস্যের দাবি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই ডিপিপি বাস্তবায়ন হয়নি।

যন্ত্রপাতিগুলো কার কাছ থেকে কেনা হবে, বন্দর কর্তৃপক্ষ না অন্য কেউ কিনবে, জিটুজি নাকি অন্য কোন পদ্ধতিতে কেনা হবে এমন সব প্রশ্ন উত্থাপন করে সংসদীয় কমিটি বন্দর কর্তৃপক্ষ কেনার পক্ষে মতামত দেয়। অন্যদিকে বন্দরের টাকায় কেনা যাবে না বলে মত দেন অর্থমন্ত্রী। পরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তাদের অবস্থান থেকে সরে আসে। বন্দরে যন্ত্রপাতি সংকট তীব্র আকার ধারণ করলে রিভাইজড ডিপিপিতে যন্ত্রপাতি কেনার কাজ এগিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ডিপিপি অনুযায়ী ১০টি কি-গ্যান্ট্রি ক্রেন, ২০টি আরটিজি, একটি রেইল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরএমজি), ১০টি স্ট্যাডাল ক্যারিয়ার, সাত টনের ১০টি রিচ স্ট্যাকার ও ১০টি কন্টেইনার মোভার ক্রয়ে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সাল পর্যন্ত একটি যন্ত্রপাতিও কিনতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, পুরোদমে এনসিটি চালু করতে ২০১২ সালে ছয় ধরনের ৬১টি যন্ত্রপাতি কেনার ডিপিপি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় কমিটির বিভিন্ন মতামতের কারণে গত চার বছরে একটি যন্ত্রও কেনা সম্ভব হয়নি।

যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটি কস্ট অব ফান্ড কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল উল্লেখ করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে চার বছরে যন্ত্রপাতি কেনা সম্ভব হয়নি।

সরকারি সংস্থাগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা গেলে এসব জটিলতা কমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

২০১৭ সালের রিভাইজড ডিপিপি অনুযায়ী যন্ত্রপাতি কেনার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে জানিয়ে বন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে ১১টি আরটিজি কেনার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে চারটির আমদানি এলসি হয়েছে। চলতি মাসেই তিনটি জাহাজে উঠবে। এছাড়া চলতি মাসের মধ্যে চারটি স্ট্যাডাল ক্যারিয়ার পাঁচটি কন্টেইনার মুভার শিপমেন্ট হবে। অন্যদিকে ৬টি আরটিজি কেনার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭

এমইউ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad