ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ট্রাফিক সপ্তাহেও নানা অজুহাতে দিনে ট্রাক চলছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
‘ট্রাফিক সপ্তাহেও নানা অজুহাতে দিনে ট্রাক চলছে’ সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সরকারি দপ্তরগুলোর সমন্বয় সভা

চট্টগ্রাম: ট্রাফিক সপ্তাহের মধ্যেও নানা অজুহাতে দিনের বেলা ট্রাক চলাচল করছে বলে মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সম্মেলন কক্ষে সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সরকারি দপ্তরগুলোর সমন্বয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু করেছি।

আমরা প্রতিটি মোড় পরিষ্কার রাখতে চাই। মূল নগরীতে আন্তঃজেলার বাসগুলো যেন রাত ১১টার আগে এবং সকাল আটটার পর না আসে সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাস্তার পাশে কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য মার্কিং করে দেওয়া হচ্ছে। জেব্রা ক্রসিংগুলো রং করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু জায়গায় যাত্রীছাউনি নির্মাণ করে দিতে হবে। নির্ধারিত স্থানের বাইরে গাড়ি পার্কিং  করলে টো করে (তুলে) নিয়ে যাওয়া হবে। মাঝিরঘাট-কদমতলিসহ কিছু জায়গায় সড়ক বেদখল করে ফেলা হয়েছে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে।

দুই নম্বর গেট এলাকায় যানজট প্রসঙ্গে দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, সিডিএ ফ্লাইওভারের লুপের কাজ শুরু করেছে সড়কটি প্রশস্ত করা ছাড়াই। প্রতিদিন ২৪ বার ট্রেন আসা-যাওয়া করে সড়কটির ওপর দিয়ে। স্বাভাবিকভাবে এ সময় আটকে পড়া যানবাহনের জট লেগে যাচ্ছে। বাওয়া-এলিমেন্টারি স্কুল বসা ও ছুটির সময় প্রচুর প্রাইভেট কারের সমাগম হচ্ছে। প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর গাড়ি আছে। কিন্তু পার্কিং নেই। বকশির হাটের সামনের সড়কের অর্ধেকজুড়ে হকাররা বসছে। নতুন ব্রিজ দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি রুটের গাড়ি চলাচল করেছে। কিন্তু গাড়ি রাখার জায়গা নেই। যানজট হচ্ছে।      

সভার সভাপতি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন যানজট প্রসঙ্গে বলেন, যানজট পর্যায়ক্রমে বাড়ছে, কমছে না। এমনকি স্থিরও হচ্ছে না। আগে স্কুল-কলেজ ও অফিস সময় কেন্দ্রিক যানজট হতো। এখন যানজটের অনেক কারণ। বাসগুলোর মধ্যে আনহেলদি কমপিটিশন চলছে। আমি নিজের চোখে দেখেছি। গলির মুখে দাঁড়িয়ে গাড়িগুলো যাত্রী তুলছে। অবৈধ যানবাহন বাড়ছে। গরিবউল্লাহ শাহ (র.) মাজার, সিনেমা প্যালেস, স্টেশন রোড এলাকায় বড় বাসগুলো যখন-তখন দাঁড়িয়ে থেকে যানজট সৃষ্টি করছে।

তিনি ঈদের পরপরই হকারমুক্ত সড়ক এবং বিকেল পাঁচটা থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের একপাশে হকারদের বিকিকিনির বন্দোবস্ত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া সিইপিজেড এলাকায় যানজট নিরসনে ফুটওভারব্রিজ বা চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করছেন বলে জানান।   

সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব তাহেরা ফেরদৌস বেগম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী একেএম শামসুল করিম, বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী তমাল কান্তি নন্দী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) চৌধুরী মোহাম্মদ ইসা ই খলিল, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক, সড়ক ও জনপদের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব হোসেন খান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন মজুমদার, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আনিস উদ্দিন আহমেদ, ফায়াস সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের এসএসও নিউটন দাস, জেলা সমাজসেবার উপ পরিচালক বন্দনা দাশ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন চৌধুরী মতামত দেন।

মেয়রের উদ্দেশে ডিসি, ‘আরও শক্তভাবে শুরু করেন’

‘ডিমান্ডের আগে ফ্যাসিলিটি তৈরি করতে হবে’

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭

এআর/টিসি ­­

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।