মঙ্গলবার বাদির জবানবিন্দ গ্রহণের পর মামলাটি সরাসরি আমলে নিয়ে চট্টগ্রামের সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল-ইমরান খান এই আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম লোকমান কবির, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম আবু সুফিয়ান, পরিচালক মো.আনোয়ার হোসেন ও প্রকল্প পরিচালক মো. সোলায়মান।
চমেক হাসপাতাল গেটের সামনে এপিক ডিভাইনের এক দোকানগ্রহীতা গাজী মো. আবদুস সাত্তার রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ২১, ২৭ ও দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
বাদির আইনজীবী মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান বাংলানিউজকে জানান, বাদি অভিযোগ করেছেন, ২০১২ সালের ১৯ জুন একটি দোকান কেনার জন্য আসামিদের বরাবর ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
এই ঘটনায় বাদি ২০১২ সালে সিএমএম আদালতে (সিআর মামলা নম্বর-২৯০/১২) মামলা দায়ের করলে আদালত এপিকের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর আসামিরা সমঝোতা করতে চাইলে বাদি একটি আপোষ চুক্তিমূলে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।
পরবর্তীতে আসামিরা ওই চুক্তির শর্তও ভঙ্গ করে বাদিকে হয়রানি করে দোকান থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এপিক ডিভাইন মার্কেটের বিদ্যুতের সাব স্টেশন বসানোর পর দোকানগ্রহীতাদের বিদ্যুৎ সংযোগ ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর সব গ্রহীতাদের দোকানে সাব স্টেশন থেকে পুনসংযোগ দিলেও বাদির সংযোগ প্রদান করেনি।
বেআইনিভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি বাদি আসামিদের লিগ্যাল নোটিস দেন। কিন্তু আসামিরা নোটিস গ্রহণ করেও কোন ব্যবস্থা নেননি।
এরপর রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইনের ৩৬ (২) উপধারা (১) এর বিধানমতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আসামিদের সালিশি ট্রাইবুনাল গঠন করে আপোষে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রীয় ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিস প্রেরণ করে। কিন্তু আসামিরা নোটিস পাওয়ার পরও আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে আরবিট্রেটর বা সালিশকারক নিয়োগ করেনি। এরপর মামলা দায়ের করেছেন বাদি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
আরডিজি/টিসি