ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ডিমান্ডের আগে ফ্যাসিলিটি তৈরি করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
‘ডিমান্ডের আগে ফ্যাসিলিটি তৈরি করতে হবে’ বক্তব্য দেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল

চট্টগ্রাম: সত্যিকারের পোর্ট সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলার জন্য সিটি করপোরেশন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলীদের সমন্বিত পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বলেছেন, সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিমান্ডের আগেই ফ্যাসিলিটি তৈরি করতে হবে। প্রকল্প নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদের জন্য, সুদূরপ্রসারী।

মঙ্গলবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সম্মেলন কক্ষে সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সরকারি দপ্তরগুলোর সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে আমরা কনটেইনার ও কার্গোতে ১৬-২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি মোকাবেলা করছি।

ইমার্জেন্সি মেজারস হিসেবে ২০১৯ সালের মধ্যে আমাদের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) চালু করতে হবে। এ লক্ষ্যে দু-এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে।
ড্রাইডক ও বোট ক্লাবের মাঝখানে পিসিটি হবে। সেখানে ৬ লেনের সড়ক হবে। বিমানবন্দরমুখী যানবাহনের জন্য একটি ফ্লাইওভার থাকবে। সড়কের ওপর চাপ কমানোর জন্য আমরা রেললাইনের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে চাই।

তিনি বলেন, বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়ে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলো ২০ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নিতে হবে। এ কাজের জন্য দেড় বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটি হলে যানজট অনেকটা সহনীয় হবে।

কর্ণফুলী দূষণের শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, নদীর ওপর দুশতাধিক শিল্পকারখানার বর্জ্য, খাল বেয়ে নামা স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালি বর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়ছে। আগ্রাবাদের শেখ মুজিব সড়কের নিচের বক্স ড্রেনের বর্জ্য বন্দরের ১ নম্বর জেটির কাছে পড়ছে।  মামলাজনিত কারণে ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সম্প্রতি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুপারভিশনে বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ২৫০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শিগগির শুরু হবে।

বে টার্মিনালের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এনওসি দেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০২১ সালে বে টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের অপারেশন শুরু হবে। তাই সেখানে আমরা রেললাইন চাই। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আট মিটার উঁচুতে জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে। বিষয়টি উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখা উচিত।

শহরে সবচেয়ে বেশি জায়গা রেলওয়ের অধীনে রয়েছে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরে আসা প্রাইমমুভার, ট্যাংক লরির জন্য রেলওয়ে জায়গা বরাদ্দ দিলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে একটি টার্মিনাল করে দেব। এটি হলে গাড়িগুলো আর রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থেকে যানজট সৃষ্টি করবে না।

তিনি কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধে একটি মাস্টারপ্ল্যান এবং মহেশখালের মুখে বন্দরের অর্থায়নে একটি পাম্প হাউসসহ স্লুইসগেট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন বলে সভাকে অবহিত করেন।  

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব তাহেরা ফেরদৌস বেগম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী একেএম শামসুল করিম, বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী তমাল কান্তি নন্দী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) চৌধুরী মোহাম্মদ ইসা ই খলিল, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক, সড়ক ও জনপদের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব হোসেন খান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন মজুমদার, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আনিস উদ্দিন আহমেদ, ফায়াস সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের এসএসও নিউটন দাস, জেলা সমাজসেবার উপ পরিচালক বন্দনা দাশ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন চৌধুরী মতামত দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭

এআর/টিসি ­­

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।