বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ইসমাইল ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে।
ইসমাইলকে মারধরের ঘটনায় বাকলিয়া থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানান ওসি।
ইসমাইল নগরীর চরচাক্তাই এলাকার জুলেখা-আমিন সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের নতুন মসজিদ এলাকায় তাদের বাসা।
নগরীর টেরিবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী জসিমের ছেলে ইসমাইল গত শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। এসময় সেখানকার উঠতি বয়সের কয়েকজন ছেলের সঙ্গে তার খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
রাত ৮টার দিকে ইসমাইল কোচিং শেষ করে হেঁটে বাসায় ফিরছিল। বাসার অদূরে জামাইবাজার এলাকায় পৌঁছার পর ২০-৩০ জন কিশোর-তরুণ ইসমাইলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লোহার রড এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই ইসমাইল জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে তার বাবাসহ পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ইসমাইলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তার বাঁচার আশা নেই বলে জানালে জসিম ইসমাইলকে ক্লিনিকে নিয়ে যান। শুক্রবার রাত থেকে ইসমাইলকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ইসমাইলের মা নীলু আক্তার হামলাকারী ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
আরডিজি/টিসি