ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘৫৭ যাত্রী নিয়ে বিমানে আগুন’-মহড়ায় ‍উদ্ধারাভিযান

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
‘৫৭ যাত্রী নিয়ে বিমানে আগুন’-মহড়ায় ‍উদ্ধারাভিযান ‘এয়ারপোর্ট ইমারজেন্সি এক্সারসাইজ-২০১৭’ মহড়া। ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: যাত্রী ও ক্রুসহ ৫৭ জন মানুষ নিয়ে এবিসি এয়ারওয়েজের একটি মাঝারি ধরনের উড়োজাহাজ রানওয়েতে অবতরণের জন্য অগ্রসর হচ্ছিল। ঠিক এমন সময়ে কন্ট্রোল টাওয়ারে পাইলটের বার্তা ‘উড়োজাহাজের দুটো ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে গেছে এবং ককপিঠে ধোঁয়া চলে এসেছে।’

অতঃপর রানওয়ে ধরে ৫০০ ফুট যাওয়ার পর মাটি স্পর্শ করে জোর বেগে সামনে ধাবিত হতে থাকে উড়োজাহাজটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছিটকে পড়ে, ভেঙে পড়ে ডান পাখাটি।

আগুনের লেলিহান শিখা জাপটে ধরে উড়োজাহাজকে।

তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের ফায়ার শাখা, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, আনসার ও বিএনসিসির সদস্যরা নেমে পড়লেন উদ্ধার অভিযানে।

‘এয়ারপোর্ট ইমারজেন্সি এক্সারসাইজ-২০১৭’ মহড়া

দ্রুত যাত্রীদের উদ্ধার করে আহতদের নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে, অন্যদের সরিয়ে নেওয়া হলো নিরাপদ অবস্থানে।

ঘড়িতে তখন মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ১১টা। এটি কোনো বাস্তব ঘটনা নয়। নিছক একটি মহড়ার অংশ মাত্র।

‘এয়ারপোর্ট ইমারজেন্সি এক্সারসাইজ-২০১৭’ নামের এই মহড়ার উদ্দেশ্য দুর্ঘটনা মোকাবেলায় নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সত্যিকারের কোনো দুর্ঘটনা মোকাবেলায় দক্ষতা অর্জন করা।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এই মহড়া চালানো হয়।

আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী তার সদস্যভুক্ত দেশসমূহের প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি দুই বছরে অন্তত একবার এই ধরনের মহড়া চালানো বাধ্যতামূলক। ‘এয়ারপোর্ট ইমারজেন্সি এক্সারসাইজ-২০১৭’ মহড়া

এই মহড়ায় ১২টি সংস্থা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, নৌবাহিনী হাসাপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল এবং আনজুমানে মফিদুল ইসলাম এই মহড়ায় অংশ নেয়।

মহড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমান্ডার এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন।

তিনি অংশগ্রহণকারী সকল সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান। এ মহড়ার মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলো উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় নিজ নিজ কর্তব্য সম্পর্কে আবারও সচেতন হতে পেরেছেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।