সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেন স্কুলছাত্র ও কিশোর ক্রিকেটার ইসমাইল গণির (১৪) বাবা জসিম উদ্দিন।
নগরীর বাকলিয়ায় উঠতি বয়সের একদল অপরাধীর হামলার শিকার হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে ইসমাইল।
ইসমাইল নগরীর চরচাক্তাই এলাকার জুলেখা-আমিন সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
নগরীর টেরিবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী জসিম বাংলানিউজকে জানান, গত শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায় ইসমাইল। এসময় সেখানকার উঠতি বয়সের কয়েকজন ছেলের সঙ্গে তার খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
রাত ৮টার দিকে ইসমাইল কোচিং শেষ করে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার অদূরে জামাইবাজার এলাকায় পৌঁছার পর ২০-৩০ জন কিশোর-তরুণ ইসমাইলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লোহার রড এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই ইসমাইল জ্ঞান হারায়।
জসিম জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ইসমাইলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তার বাঁচার আশা নেই বলে জানালে জসিম ইসমাইলকে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। গত চারদিন ধরে ইসমাইলকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ইসমাইলের মা নীলু আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলেটা ভাল ক্রিকেট খেলত। তার আশা ছিল সে বড় ক্রিকেটার হবে। আমার ছেলেটার জীবন এখন আল্লাহর উপর। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেয়।
ইসমাইলের উপর হামলাকারী ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে নীলু আক্তার বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী।
ওসি বলেন, আমরা তদন্তে জেনেছি ইসমাইলের মামার সঙ্গে আসামিদের মোটর সাইকেলে ধাক্কা লাগা নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর ইসমাইলের মামা এবং আসামিরা উভয়পক্ষ মারামারির জন্য জামাইবাজারে লোকজন সমাগম করে। কিন্তু আসামিরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় ইসমাইলের মামারা পালিয়ে যান। তবে ইসমাইল পালাতে পারেনি। এরপর হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা উঠতি বয়সের সন্ত্রাসী বলে জানান ওসি প্রণব চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
আরডিজি/টিসি