ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আলোক শিখায় পুলিশ-জনতার সম্মিলিত প্রতিবাদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
আলোক শিখায় পুলিশ-জনতার সম্মিলিত প্রতিবাদ আলোক শিখায় পুলিশ-জনতার সম্মিলিত প্রতিবাদ (ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম: নগরজুড়ে আলোক শিখা প্রজ্বলনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।  কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার আওতায় পুলিশ ও জনতা এক হয়ে এই কর্মসূচি পালন করেছে।

রোববার (২১ মে) সন্ধ্যার পর একযোগে নগরীর প্রতিটি থানায় কমপক্ষে দুটি করে স্পটে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) আনোয়ার হোসেন।

নগরীর ডিসি হিলে কমিউনিটি পুলিশিং মহানগর শাখার উদ্যোগে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়েছে।

  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো.মোখলেসুর রহমান।

আলোক শিখা প্রজ্বলনকে যারা দেশে অন্ধকার ডেকে নিয়ে আসতে চায় এবং সমাজে অস্থিরতা তৈরি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বলে মন্তব্য করেন মোখলেসুর।

তিনি বলেন, পুলিশ আর সাধারণ জনতা যখন এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে তার প্রভাব অবশ্যই সমাজে পড়বে।  যে কোন ধরনের অন্যায়, অবিচার এবং অপরাধমূলক তৎপরতা অবশ্যই কমে আসবে।  

মাদক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদক বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে।   এই জেলা (চট্টগ্রাম) এবং পার্শ্ববর্তী জেলার (কক্সবাজার) বিভিন্ন জায়গা থেকে ইয়াবা ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা বাংলাদেশে। এখানে যদি বন্ধ করতে পারি, তাহলে পুরো বাংলাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব।  

‘আর জঙ্গিবাদ কখনোই দুনিয়াতে সফল হয়নি।   শান্তিকামী মানুষকে হত্যা করে কোন ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।   জঙ্গিবাদ জয়লাভ করবে না।   ধর্মের নাম দিয়ে যে অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে এই অশান্তি এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।   বাংলাদেশকে অচিরেই আমরা জঙ্গিমুক্ত করতে পারব।   জনগণের সহযোগিতা পেলে এটা আরও ত্বরান্বিত হবে। ’আলোক শিখায় পুলিশ-জনতার সম্মিলিত প্রতিবাদ

এতে আরও বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশিং মহানগর শাখার আহ্বায়ক ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক এবং সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।   উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য, সালেহ মোহাম্মদ তানভির, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন, নগর পুলিশের উপ কমিশনার মো.মোস্তাইন হোসেন এবং কমিউনিটি পুলিশিং মহানগর শাখার সদস্য সচিব অহীদ সিরাজ স্বপন।

তিনজনের বক্তব্যের পর শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ার মঞ্চের বিপরীত দিকে সারিবদ্ধভাবে সাধারণ লোকজনের সামনে গিয়ে দাঁড়ান।   পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই সবার মাঝে মোমবাতি বিতরণ করা হয়।   অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান মোমবাতি প্রজ্বলনের সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠে শত, শত আলো।   মোমের আলোয় চারপাশ আলোকিত হয়ে উঠে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ডিসি হিলে কর্মসূচি শুরুর আগে নগরীর সিনেমা প্যালেসের দিক থেকে বিভিন্ন বয়সী প্রায় শ’খানেক লোক একটি মিছিল নিয়ে সেখানে আসেন।   এসময় তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।  মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা এসে ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ার মঞ্চের সামনে অবস্থান নেয়ার পর সেখানে আগে থেকে যেসব দর্শনার্থী, সাধারণ মানুষ ছিলেন তাদের অধিকাংশই চলে যান।  মিছিলে আসা লোকজনের অধিকাংশই কিশোর-তরুণ বয়সী এবং নিম্ন আয়ের লোকজন দেখা গেছে।

এদিকে ডিসি হিলের কর্মসূচি শেষ করে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমানসহ শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা নগরীর মিমি সুপার মার্কেটের সামনে আরেকটি আলোক শিখা প্রজ্বলন কর্মসূচিতে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।