ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই তিন সেতুর একটি স্বাগত জানাবে অতিথিদের

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
সেই তিন সেতুর একটি স্বাগত জানাবে অতিথিদের  পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট এলাকার সেতুর ওয়াকওয়ের প্রস্তাবিত নকশা

চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষের পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের সেই তিন সেতুর কাজ নির্ধারিত সময় শেষ করার পাশাপাশি সেতুগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন।

এর মধ্যে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটসংলগ্ন ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি হবে আইকনিক। যার দৃষ্টিনন্দন সাজ ও বর্ণিল আলোর ফোয়ারা স্বাগত জানাবে নগরে আসা দেশি-বিদেশি অতিথিদের।

ইতিমধ্যে সেতু তিনটির বিউটিফিকেশনের নকশা অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ১৫ নম্বর ঘাটের সেতুটিতে ২৩ জোড়া লবণ-প্রতিরোধী ধাতব খুঁটিতে থাকবে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আলোর ঝরনাধারা।

চার লেনের সেতুর দুপাশে থাকবে প্রশস্ত ওয়াকওয়ে। থাকবে সবুজ গাছপালা। পর্যটকদের জন্য নগরীর মানচিত্র, সড়ক নির্দেশিকা ইত্যাদি। বিউটিফিকেশনের বিষয়টি মাথায় রেখে ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। তিন সেতুকে ঘিরে পুরো সড়কটিই লাইটিং ও গার্ডেনিংয়ের আওতায় আনছে চসিক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, শাহ আমানত বিমানবন্দরে নেমে দেশ-বিদেশের অতিথিরা নগরীর প্রবেশপথগুলো আকর্ষণীয় দেখলে নগর সম্পর্কে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। এ লক্ষ্যে বিমানবন্দর থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত ফুটপাত নির্মাণ, লেন মার্কিং, সাইড সোল্ডারের উন্নয়নকাজ এবং সেতু তিনটির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শিগগির শুরু করবো। তিনি বলেন, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে রুবি সিমেন্ট কারখানা পর্যন্ত এলাকা জলাবদ্দতা থেকে মুক্ত করার জন্য কর্ণফুলী ইপিজেডের দেয়াল ঘেঁষে বড় নালা নির্মাণ করা হবে। যাতে থাকবে ওয়াকওয়ে ও গার্ডেনিং। সড়কটির যেসব জায়গায় সুযোগ আছে সেখানে প্রশস্ত করা হবে। দু-এক দিনের মধ্যে ডিজিটাল সার্ভে শুরু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।    

এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, জুনের মধ্যে তিন সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এ লক্ষ্যে জাইকার প্রকল্প পরিচালকের পাশাপাশি চসিকের তিনজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নেতৃত্বে তিনটি টিম সেতুগুলোর কাজ তদারক করছে। প্রধান প্রকৌশলী ও আমি নিয়মিত মনিটরিং করছি, পরিদর্শন করছি। আশাকরি, রুবি সিমেন্ট কারখানা ও গুপ্তখাল এলাকার দুটি সেতু নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে বলা হতো প্রাচ্যের রানি। পাহাড়, সাগর, নদী, সমতলে অনন্য এ নগরীর সৌন্দর্য নানা কারণে ম্লান হয়ে গেছে। আমরা একটি বিশ্বমানের শহর হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে চাই। এখানে লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে, টানেল হবে, অনেক স্পেশাল ইকোনমিক জোন হবে। স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রামকে ঢেলে সাজাতে হবে। সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেটি আমরা বিমানবন্দর এলাকা দিয়েই শুরু করতে চাই।

জাইকার কাজ শেষ হলেই ১৫ নম্বর সেতুর বিউটিফিকেশনের কাজ শুরু করবেন বলে জানান মেয়র নাছির।

সেই তিন সেতুর একটির গার্ডার ঢালাই দেখলেন মেয়র

সেই তিন সেতুর নির্মাণকাজ দেখলেন মেয়র

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এগোচ্ছে তিন সেতুর নির্মাণকাজ

 

সেই তিন সেতুর তদারকি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এলো

সেই তিন সেতু পরিদর্শন করলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী

‘কে কমিশনের ভাগ কত দেবে, এসব চলবে না’

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭

এআর/টিসি ­­

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।