ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আতঙ্ক থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
আতঙ্ক থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ।ছবি: উজ্জ্বল ধর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে দাবি করে নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সেই আতঙ্ক থেকে আওয়ামী লীগ সরকার চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে।

 

রোববার বিকেলে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

  

২০৩০ ভিশনে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মানুষের কল্যাণ, দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। যা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

এই ভিশন ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগের শিবিরে আতংক বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি-দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপীড়নে দেশের মানুষ এই সরকারের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, ফলে দেশের জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি সরকারের উদেশ্যে বলেন, কোন সরকারই শেষ সরকার নয়, কোন ষড়যন্ত্রই এদেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। একটি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় দেশের জনগণ গণআন্দোলনের মাধ্যমে পতনঘণ্টা বাজাবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে আতঙ্ক ও অস্থিরতা বিরাজ করছে মন্তব্য করে নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের জনবিচ্ছিন্নতার চিত্র তুলে ধরেছেন। তাতে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে।

সরকারের জনবিচ্ছিন্নতার চিত্র উঠে আসায় নার্ভাসনেস থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশি চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের সাথেই আছে। কারা বিচ্ছিন্ন সেই চিত্র নিজেরাই প্রকাশ করেছে।

বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ ঘোষণার পর এধরণের আগ্রাসন গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নষ্টের পাঁয়তারা এবং উস্কানিমূলক আচরণ। সরকার সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে কাজটি করেছে সেজন্য অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রিয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা সাবেক কমিশনার সামশুল আলম, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, হারুন জামান, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন দ্বীপ্তি, ইস্কান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সামশুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, জি এম আইয়ুব খান, মনোয়ারা বেগম মনি, এম এ হান্নান, সাইফুল ইসলাম বাবুল, কামরুল ইসলাম, গাজী সিরাজ উল্লাহ, শিহাব উদ্দিন মোবিন, বেলায়েত হোসেন বুলু, সরফরাজ কাদের রাসেল, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭

এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।