শনিবার (২০ মে) সকালে চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা বিষয়ক নাগরিক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। চিটাগাং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (সিকাজ) এবং ফোরাম ফর প্ল্যানড চিটাগাং (এফপিসি) এর যৌথ উদ্যোগে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়।
জেরিনা হোসেন বলেন, ‘প্রাইমারি লেভেলের একটা নগর এবং নগরায়ন করতে হলে প্রাইমারি লেভেলের যে ক্যাপিটাল ওয়ার্ক থাকে, সেগুলো বিশাল। সেগুলো দিয়ে কোথাও ছোট ছোট করে লাইন করলাম, এভাবে আর হবে না।
মেজর ক্যাপিটাল ওয়ার্কস যেকোন একটি মেজর ডেভলপমেন্ট অথরিটি করে। সিডিএ এসব করার সময় কেন নিয়ম মেনে করে না। এসব মেজর ক্যাপিটাল ওয়ার্কসগুলো করা তো তাদের দায়িত্ব। অর্ডিনেন্স মেনে তা করা হয় না। তাকে তো ফ্লাইওভার করতে বলে নাই। আমরা কি এখন প্রশ্ন করতেও ভুলে যাচ্ছি, নাকি ভয় পাচ্ছি। ’
‘চট্টগ্রামবাসী কেন এসব প্রশ্ন করছে না। এতে কে সুবিধাভোগ করবে? সুন্দর নগরায়নের জন্য সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ওয়াসাকে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। ’
নালায় কেউ ময়লা ফেললে, তাকে শাস্তির আওতায় এনে দণ্ডিত করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তিনি।
নাগরিক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ। সংলাপের উদ্বোধন করেন চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান অধ্যাপক ড. শফিক হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও চিটাগাং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (সিকাজ) সদস্যসচিব ড. শামসুল হোসাইনের সঞ্চালনায় নাগরিক সংলাপে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, ওয়াসার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আবছার, ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, মোসলেম উদ্দিন খালেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি