লেকের পরিবেশটা এমন, মনে হবে যেন আকাশে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে প্রকৃতির অনাবিল সৃষ্টি পাহাড়গুলো। রয়েছে ছেঁড়া মেঘপুঞ্জও।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ২০ জন সাংবাদিকের এই ট্যুরে নেতৃত্বে ছিলেন সমিতির সভাপতি আবু বকর রাহাত। আর অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার চৌধুরী।
নগরীর দুই নম্বর গেট থেকে সকাল ৮টায় রওনা দিয়ে বাস কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি পৌঁছে বেলা সাড়ে ১১টায়। সেখানে নেমে একটি রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ বিশ্রাম। তারপর শুরু হয় লেকে বোট জার্নি। এক ঘণ্টা পানির ওপর থাকার পর দুপুরে খাবার খাওয়া হয় ওই রেস্টুরেন্টে।
কিছুক্ষণ পর রওনা দেওয়া হয় ওয়াংছড়ার চা বাগানের উদ্দেশ্যে। বড়ইছড়ি থেকে পাকা সড়ক ছেড়ে সোজা আধা কিলোমিটার পথটি মাড়িয়ে লেক পার হলেই চা বাগান। যেই ঢুকে পড়লেন কাঁচা সড়কে, দেখবেন টিলায় ঘেরা আদিবাসীদের ছোট ছোট ঘর। তাদের উপার্জন বেশিরভাগই চা পাতাকে ঘিরে। সেখানে চা-বাগানের মাঝখানে রয়েছে লিচু বাগানও।
সবুজ গাছপালা ঘেরা অসম্ভব সুন্দর ওয়াংছড়ায় এলে মনে হয়, ভরপুর অক্সিজেন প্রতি মুহূর্তে জীবনীশক্তিকে দ্বিগুণ করছে। প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়া যায় নির্মল আবহাওয়ায়। শরীর মন দুই-ই চাঙ্গা হয়।
আনোয়ার চৌধুরী, আবু বকর রাহাত, সালামত উল্ল্যাহ, শাহ পরাণ, মিজানুর রহমান, বায়জিদ ইমন, জোবায়ের চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, মুমিন মাসুদ, রাবিকসহ সবাই বলে ফেললেন- ‘এখানে যদি একটি বাড়ি থাকত। তাহলে থেকেই যেতাম। প্রাণভরে নিঃশ্বাসও নেয়া যেত। ’
চা বাগান থেকে ফেরার পথে আলাপ হয় সহজ-সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তারা জানালেন, লেক থেকে মাছ শিকার, লিচু, আম ও মৌসুমি ফলের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।
সব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা। এবার বাসে খানিকক্ষণ ভালোলাগার অনুভূতি বিনিময় করেন ট্যুরে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা। সবাই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং সাংবাদিক সমিতিকে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি