ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কাপ্তাইয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একদিন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
কাপ্তাইয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একদিন কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি লেক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: রাউজানের রোমান্টিক রাস্তা ধরে সোজা ৪০ কিলোমিটার পথ। যাওয়ার পথে পাহাড়ের নৈসর্গিক রূপে দু’চোখে রেখে যেতে যেতেই হঠাৎ থমকে যেতে হয় অপূর্ব এক লেক দেখে! দু’পাশে সবুজ পাহাড় আর মাঝখানে বিশাল লেকটি দেখে দু’নয়ন যেমন বিমোহিত হয় তেমনি তৃপ্তির আধারও ভরে কানায় কানায়! এটাই কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি লেক।

লেকের পরিবেশটা এমন, মনে হবে যেন আকাশে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে প্রকৃতির অনাবিল সৃষ্টি পাহাড়গুলো। রয়েছে ছেঁড়া মেঘপুঞ্জও।

যেন তারা ভালোবাসার চাদর বিছিয়ে দিয়েছে আপনার-ই জন্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সেখানে কাটিয়েছে পুরো একটি দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ২০ জন সাংবাদিকের এই ট্যুরে নেতৃত্বে ছিলেন সমিতির সভাপতি আবু বকর রাহাত। আর অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার চৌধুরী।

নগরীর দুই নম্বর গেট থেকে সকাল ৮টায় রওনা দিয়ে বাস কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি পৌঁছে বেলা সাড়ে ১১টায়। সেখানে নেমে একটি রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ বিশ্রাম। তারপর শুরু হয় লেকে বোট জার্নি। এক ঘণ্টা পানির ওপর থাকার পর দুপুরে খাবার খাওয়া হয় ওই রেস্টুরেন্টে। কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি লেকে চবি সাংবাদিক সমিতির ট্যুর

কিছুক্ষণ পর রওনা দেওয়া হয় ওয়াংছড়ার চা বাগানের উদ্দেশ্যে। বড়ইছড়ি থেকে পাকা সড়ক ছেড়ে সোজা আধা কিলোমিটার পথটি মাড়িয়ে লেক পার হলেই চা বাগান। যেই ঢুকে পড়লেন কাঁচা সড়কে, দেখবেন টিলায় ঘেরা আদিবাসীদের ছোট ছোট ঘর। তাদের উপার্জন বেশিরভাগই চা পাতাকে ঘিরে। সেখানে চা-বাগানের মাঝখানে রয়েছে লিচু বাগানও।

সবুজ গাছপালা ঘেরা অসম্ভব সুন্দর ওয়াংছড়ায় এলে মনে হয়, ভরপুর অক্সিজেন প্রতি মুহূর্তে জীবনীশক্তিকে দ্বিগুণ করছে। প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়া যায় নির্মল আবহাওয়ায়। শরীর মন দুই-ই চাঙ্গা হয়।

আনোয়ার চৌধুরী, আবু বকর রাহাত, সালামত উল্ল্যাহ, শাহ পরাণ, মিজানুর রহমান, বায়জিদ ইমন, জোবায়ের চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, মুমিন মাসুদ, রাবিকসহ সবাই বলে ফেললেন- ‘এখানে যদি একটি বাড়ি থাকত। তাহলে থেকেই যেতাম। প্রাণভরে নিঃশ্বাসও নেয়া যেত। ’ 

চা বাগান থেকে ফেরার পথে আলাপ হয় সহজ-সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তারা জানালেন, লেক থেকে মাছ শিকার, লিচু, আম ও মৌসুমি ফলের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।

সব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা। এবার বাসে খানিকক্ষণ ভালোলাগার অনুভূতি বিনিময় করেন ট্যুরে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা। সবাই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং সাংবাদিক সমিতিকে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭

জেইউ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad