ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি আইইআর

৫ বছরেও এমএড অর্জনের শর্তপূরণে অনীহা শিক্ষকদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
৫ বছরেও এমএড অর্জনের শর্তপূরণে অনীহা শিক্ষকদের চট্টগ‌্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব অ্যাডুকশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর) প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় ৫ বছর আগে। প্রতিষ্ঠার সময় কথা ছিল চবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যামিক শাখার শিক্ষকদের এ ইনস্টিটিউটে আত্তীকৃত করা হবে। তবে তার আগে শিক্ষকদের অবশ্যই এমএড (মাস্টার্স অফ এডুকেশন) ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।

কিন্তু প্রতিষ্ঠাকলীন সময়ে এ নিয়ম না মেনেই শিক্ষকদের আত্তীকৃত করা হয়।  আর এখন এসব শিক্ষকরা এমএড ডিত্রি অর্জনে দেখাচ্ছেন অনীহা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ইনস্টিটিউট অব অ্যাডুকেশন রিসার্চ অ্যন্ড ট্রেনিং নামে যাত্রা শুরু করে এই ইনস্টিটিউটটি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ইনস্টিটিউট অব অ্যাডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)।

প্রতিষ্ঠার আগেই চবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের এমএড ডিগ্রি অর্জন সাপেক্ষে ইনস্টিটিউটে আত্তীকৃত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সাথে যারা এমএড ডিগ্রি অর্জন করবেন না তারা কলেজের দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।  আর যারা এমএড অর্জন করবেন তারা ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি কলেজেও দায়িত্ব পালন করবেন।

কিন্তু পরবর্তীতে ২০১২ সালে সেই সিদ্ধান্ত না মেনেই এমএড ডিগ্রি ছাড়াই কলেজের ১৮জন শিক্ষককে ওই ইনস্টিটিউটে আত্তীকরণ করা হয়।  আর আত্তীকরণের পর এখন পূর্বের সেই নির্ধারিত যোগ্যতা এমএড ডিগ্রি অর্জনে অনীহা আত্তীকৃত শিক্ষকদের।

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরে ইনস্টিটিউটটের আত্তীকৃত ১৮ শিক্ষকের মধ্যে কেবল ১জন এমএড করেছেন। আরও চারজন করেছেন বিএড (ব্যাচেলর অফ এডুকেশন)। এছাড়া ২জন এমএড-এ অধ্যয়নরত। পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে আত্তীকৃত হওয়ার পর তারা আর আগের নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জনে আগ্রহী নন। তবে এমএড না করলেও পিএইচডি এবং এমফিল করেছেন বেশ কিছু শিক্ষক।

আইইআর সূত্রে জানা যায়, চারবছর মেয়াদি বিএড (অনার্স) এবং একবছর মেয়াদি এমএড (মাস্টার্স) প্রোগ্রাম রয়েছে ইনস্টিটিউটটিতে। এর মধ্যে চারবছর মেয়াদি অনার্স প্রোগ্রামে দুই ধরনের পাঠক্রম আছে। একটি অ্যাকাডেমিক কোর্স এবং অপরটি প্রফেশনাল। কলেজের আত্তীকৃত শিক্ষকরা অ্যাকাডেমিক কোর্সটি পড়িয়ে থাকেন।

অপরদিকে প্রফেশনাল কোর্সের জন্য রয়েছেন ৪জন খণ্ডকালীন শিক্ষক। এমএড ডিগ্রিধারী খণ্ডকালীন শিক্ষকরাই প্রফেশনাল কোর্সগুলো পড়িয়ে থাকেন। তবে এমএড না করেও কলেজের কিছু শিক্ষক প্রফেশনাল কোর্স পড়াতে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, ‘যেহেতু এমএড অর্জন একটা কন্ডিশন (শর্ত) তাই তাদের সেটা করা উচিত। যদি কেউ তা না করে তবে তার পদোন্নতির ক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি দেখব, যার এমএড করার কথা ছিল তার সেটি আছে কি না। ’

এ ব্যাপারে আইইআর ইনস্টিটিউটের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক কিরণ চন্দ্র দেবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তিনি রিসিভ করেননি।

আগামী পর্বে পড়ুন:

প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তারা কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক!

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭

জেইউ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।