ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সম্মিলিত উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
‘সম্মিলিত উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে’ মন্দিরের ফলক উন্মোচন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

চট্টগ্রাম: ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাহাত্তরের সংবিধানে প্রতিটি ধর্ম ও মতের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে বাশঁখালী ঋষিধামে আধুনিক নির্মাণশৈলীতে নির্মিত শ্রীগুরু মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি বলেন, জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সম্মিলিত উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এদেশে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই।

ঋষিধাম ও তুলসীধামের মোহন্ত মহারাজ সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজের পৌরহিত্যে শ্রীগুরু সংঘের সভাপতি লায়ন প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহেনুর ও বাংলাদেশে পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

স্বাগত বক্তব্য দেন ঋষি অদ্বৈতানন্দ পরিষদ বাংলাদেশ সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিত।

বক্তব্য দেন ড. জিনবোধি ভিক্ষু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী সাহেল তস্তুরী, অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ, রাজনীতিবিদ খোরশেদ আলম, বিমল কান্তি দেব, অ্যাডভোকেট অনুপম বিশ্বাস, শিল্পপতি অলক দাশ, অধ্যাপক রুপন ধর, স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আ ন ম শাহাদাৎ আলম, অধ্যাপক বিপ্লব পাল, টুটুন চক্রবর্ত্তী, নেপাল কান্তি গুহ, অ্যাডভোকেট ভূপাল কান্তি গুহ, বিশ্বজিৎ মহাজন, উৎসব কমিটির আহ্বায়ক অলক দাশ, সদস্যসচিব ঝন্টু দাশ, অর্থসচিব তড়িৎ কান্তি গুহ, ডা. আশীষ শীল, দিলীপ দত্ত, ছোটন দেব, বাবলা পাল, প্রদীপ কান্তি গুহ, দোলন দাশ, পান্না পাল, শিবশংকর দাশ সানু, অরুণ রশ্মি দত্ত প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি ফলক উন্মোচন করে শ্রীগুরু মন্দির উদ্বোধন করেন এবং ঋষিধামের বিশাল এলাকা পরিদর্শন করেন।

প্রধান বিচারপ্রতি বলেন, পৃথিবীতে যখন অনাচার বেড়ে যায় তখন মানবমুক্তির লক্ষ্যে আধ্যাত্মিক মহাপুরুষরা অবতীর্ণ হন। তারা মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্র্রত করার শিক্ষা দেন। অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজের মতো মহাপুরুষরা মানবমুক্তির জন্য এ পৃথিবীতে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ আজীবন সাম্যের গান গেয়ে গেছেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তার কাছে সমান সমাদৃত ছিলেন। তিনি বাঁশখালী ঋষিধাম এবং তুলসীধাম প্রতিষ্ঠা করে আধ্যাত্মিক সাধনার দ্বার উন্মোচন করেছিলেন।

দেবাশীষ পালিত বাংলানিউজকে জানান, প্রধান বিচারপতি বেলা ১১টার দিকে বাঁশখালী পৌঁছেন। এরপর মন্দির উদ্বোধন ও আবির্ভাব উৎসব উদ্বোধন করে বাঁশখালী আদালত ভবন পরিদর্শন করেন।     

অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজের জন্মস্থান পরিদর্শন

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাঁশখালীর বাণীগ্রামে স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজের জন্মস্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় জগন্নাথধামে ১১৪তম অদ্বৈত জয়ন্তী উৎসবে যোগ দেন। স্বামীজির জন্মস্থানে এলে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে মঙ্গলশঙ্খ, উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান ভক্তরা। প্রধান বিচারপতি বেলুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন। পরে নন্দনকানন তুলসীধামের মোহন্ত ও জগন্নাথধামের সেবায়েত শ্রীমৎ দেবদীপ পুরী মহারাজ প্রধান বিচারপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর প্রধান বিচারপতি জগন্নাথধামে প্রার্থনায় অংশ নেন এবং দেববিগ্রহে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। শেষে প্রধান বিচারপতিকে স্বামীজির লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ উপহার দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭

এআর/টিসি

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।