ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাজারদর

পোশাক দেখে গরুর মাংসের দাম হাঁকছে বিক্রেতা

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
পোশাক দেখে গরুর মাংসের দাম হাঁকছে বিক্রেতা পোশাক দেখে গরুর মাংসের দাম হাঁকছে বিক্রেতা। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ক্রেতার পোশাক আর আর্থিক সামর্থ্য আঁচ করেই গরুর মাংসের দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। কারও কাছে হাড়ছাড়া মাংস ৬০০ টাকা, কারও কাছে আবার ৭০০ টাকাও কেজিতে বিক্রি করছেন। শুক্রবার (১৯ মে) সকালে কাজীর দেউড়ি বাজারের চিত্র এটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাংস বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানের পর থেকে মাংস বিক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে জরিমানা নিয়ে। তাই সবার কাছে ৭০০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করলেও প্রশাসনের লোকজন কিংবা সাংবাদিক আন্দাজ করে ৬০০ টাকায়ও বিক্রি করছে।

কাজীর দেউড়ির মহল্লারই একজন মাংস ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, শবে বরাতে ৭০০ টাকা কেজি দরে ৪ কেজি মাংস কিনেছিলাম মেয়ের বাড়িতে ‘পিঠা-সালুন’ পাঠাবো বলে। মাংসের দোকান থেকে বেরিয়ে কাজীর দেউড়ি সিডিএ মার্কেটের মুদির দোকানে মেপে দেখলাম ৪০০ গ্রাম কম।

আর যদি ওজনে সঠিকও পান তবে দেখবেন হাড়ছাড়া মাংসের দাম নিয়ে হাড়, চর্বি, রগ (শিরা) ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, কাজীর দেউড়ি বাজারের ক্রেতারা ভিআইপি। দর, ওজন নিয়ে তাদের মাথা ঘামানোর ফুরসত নেই। এটারই সুযোগ নিচ্ছেন বিক্রেতারা।

মাছের দোকানে সমুদ্রের বড় লাক্ষা (কাটা) কেজি ১২০০, কোরাল ৮৫০, সাদা রুপচাঁদা ৫৫০ থেকে ৮০০, কালো রূপচাঁদা ৪৫০-৬০০, ইলিশ ৮০০-১২০০, গলদা চিংড়ি (কেজিতে ১৭-১৮টি) ৭০০, বড় আইড় ১১০০, রুই ৩০০, তেলাপিয়া ১৫০, পাঙ্গাস ১৪০, লইট্টা ১৫৯, জুইন্না ইছা (ছোট লাল চিংড়ি) ২০০ টাকা, পোঁপা ২৫০, পাবদা ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০ টাকা, কার্প ২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কাপ্তাই হ্রদের ৬ কেজি ওজনের রুই মাছের দাম হাঁকা হয়েছে প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা। সমান ওজনের কালবাউশের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা। কাতলা ৫০০ টাকা।

খালেদের দোকানে জীবিত মাছের মধ্যে শোল ৫০০, শিং ও মাগুর ৭০০, কই ৮০০, টাকি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা মো. আজম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিকেজি বাঁধাকপি ৩০, কচুর লতি ৪০, টমেটো ৩০-৫০, বেগুন ৫০, মিষ্টিকুমড়া ২৫ (পাকা), ৪০ (কাঁচা), আলু ১৮, দেশি আলু ৩৫, কাঁকরোল ৩০, বরবটি ও ঢেঁড়স ৪০, লোকাল পেঁপে ৫০, আড়তের পেঁপে ৩৫, লাউ ৪০, কচুর ছড়া, ফুল (পোঁপা) ৮০, ঝিঙে ৪০, চিচিঙা ৫০, ফুলকপি ১০০, পটল ৪০, শিম ৯০, মুলা ৬০, চালকুমড়া ৪০, শসা (বড়) ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, আড়ত থেকে পাইকাররা সবজি কেনার পর সর্টিং (বাছাই) করে সেরা সবজিগুলো কাজীর দেউড়ি বাজার, বিদেশে রপ্তানি এবং সুপার শপগুলোর জন্য আলাদা করে রাখে। ফলে কিছুটা বেশি দামে কিনতে হয়।

শুক্রবার কাজীর দেউড়ি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০-৪০, ধনেপাতা ১৫০, পাতা ধন্যা ১৪০, খিরা (ছোট শসা) ২০, গাজর ৭০, ক্যাপসিকাম ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।      

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

**মাংসের দোকানিকে জরিমানা, ছোলা বিক্রেতাদের সতর্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।