চসিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দুটি লটে গাড়ির পুরোনো ব্যাটারি বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে চসিক। ১ নম্বর লটে ছিল দামপাড়াস্থ স্টোরের বিভিন্ন আকারের ২৩০টি ব্যাটারি।
সাগরিকা স্টোরের মালামালের কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানটিকে ‘স্যারের নির্দেশে’ দামপাড়া স্টোরের ২৩০টি ব্যাটারিও বুঝিয়ে দেন স্টোর কিপার। একেকটি পুরোনো ব্যাটারির বাজার মূল্য ৮-১০ হাজার টাকা।
যোগাযোগ করলে দামপাড়া স্টোরের স্টোর কিপার আবু সালেহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘শাহিনুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে আমরা ব্যাটারিগুলো সরবরাহ করেছি। ’
কাগজপত্র না দেখে সরবরাহ করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্যার বলেছিলেন পরের বার সমন্বয় করবেন। ’
পুরোনো ব্যাটারির একজন ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, কেউ যদি সাগরিকা থেকে ৯৭টি ব্যাটারির কার্যাদেশ পান তবে তিনি সেখানে পণ্যঘাটতি হলে দামপাড়া থেকে সমপরিমাণ পণ্য নিতে পারেন। কিন্তু ৯৭টির জায়গায় ২৩০টি নিতে পারেন না। নিশ্চয় কোনো ভেজাল আছে।
বিষয়টি জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সরেজমিন তদন্ত করে ব্যাটারি নিলামে কারচুপির প্রমাণ পেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এআর/টিসি